ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার করা এক আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে জানান, এ মামলায় মওদুদ আহমদের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানি হচ্ছে। সেই শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে খালেদা জিয়া এ মামলার যে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করেছেন সেটি কেন বাতিল করা হবে না-এ মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করবো।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ই ডিসেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৫ই মে খালেদাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) আদালতে দাখিল করা হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, দুর্নীতির অভিযোগে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফকে আসামি করা হয়েছে।
এই মামলায় মওদুদ আহমদের বিষয়ে গত বছরের ১লা ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল ও স্থগিতাদেশ জারি করেন। পরে মওদুদের পক্ষে যাওয়া সেই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে আপিল বিভাগেও হাইকোর্টের আদেশ বহাল থাকে।
তবে, রুল শুনানিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বিব্রতবোধ করলে নিয়ম অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি তা অন্য একটি বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। ওই রুলের শুনানি বর্তমানে চলছে।