DMCA.com Protection Status
title="৭

আওয়ামী লীগ নয়,বিএনপিই ভারতের দালালী করেঃশেখ হাসিনা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বিএনপি দ্বিচারিতার রাজনীতি করে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশের অনির্বাচিত এবং অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, বিএনপিই ভারতের দালালি করে কিন্তু উল্টো অভিযোগ আনে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। স্থল ও সমুদ্রসীমা চুক্তি এবং গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি বঙ্গবন্ধু করে গেলেও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কেউই তা নিয়ে আলোচনা বা অন্য কোনো পদক্ষেপ নেননি।

শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে যুব মহিলা লীগের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আমলে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনেই তারা হয় কারচুপি করেছে, নয়তো ভোট চুরি কিংবা ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা ভোটকেন্দ্র দখল অথবা সন্ত্রাস করে ভোট ছিনিয়ে নিয়েছে। তাদের মুখে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলা মানায় না।

শেখ হাসিনা বলেন, স্থলসীমা নিয়ে জাতির পিতা ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি করে রেখে যান। আইন পাশ করে রেখে যান। সংসদে সেই আইন পাশ হয়। কই বিএনপি, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া যারাই ক্ষমতায় ছিলো কেউ তো কখনো একবারের জন্যও সীমানার দাবিও করেনি। সীমানা নির্দিষ্ট করার পদক্ষেপও নেয়নি। দালালি এমনভাবে ছিল যে, ওরা সে কথা উচ্চারণই করেনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসীমা আইনও জাতির পিতা করে রেখে যান। জিয়া, খালেদা, এরশাদ সরকার ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সমুদ্রসীমা কোন আলোচনা, কোন মামলা বা কোন পদক্ষেপ নিয়েছে? নেয়নি। কেন নেয়নি? যদি এতই দেশপ্রেমিক হবে দেশের এই সমস্যার কথা তোলেনি কেন?’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অথচ আজকে শুনি খুব ভারত বিরোধী কথা! যারা ভারতের কাছে কিছুই আদায় করতে পারেনি এখন আবার খুব ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে। এসব বহু খেলা তারা খেলেছে। তাদের কোনো দেশপ্রেম নেই। ক্ষমতাটা তাদের কাছে ভোগের বস্তু’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের আগে যখন আমেরিকান কোম্পানি আমাদের গ্যাস বিক্রি করতে চাইল ভারতের কাছে। ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়েছিল খালেদা জিয়া। দিয়েই তো ক্ষমতায় এসেছিলো। আমি তো দেইনি। আমি চেয়েছিলাম আমার দেশের আগে দেশের মানুষের কাজে লাগবে, ৫০ বছরের রিজার্ভ থাকবে। তারপরে আমরা ভেবে দেখব বিক্রি করব কি করব না’।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে এত কথা বলে, এখানে সেই ‘র’ (ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা) এর প্রতিনিধি সে তো হাওয়া ভবনে বসেই থাকতো। আমেরিকার অ্যাম্বাসির লোকও হাওয়া ভবনে বসে থাকতো।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘(খালেদা জিয়া) ভারত বিরোধী কথা বললেন, তার আগে উনি গঙ্গা পানি আদায়ের জন্য ফারাক্কা পর্যন্ত লং মার্চও করেছিলেন। আন্দোলন করেছিলেন কিন্তু ভারত গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলেই গেলেন।

তাহলে ‘দালালিটা করে কে? আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর পরই আমরা কিন্তু গঙ্গার পানি ন্যায্য হিস্যা আদায় করেছি।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!