ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাবেক স্বৈরাচার এবং পতিত প্রেসিডেন্ট ,বর্তমানে অবৈধ হাসিনার বিশেষ দূত, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমি হেফাজত করি না। তবে হেফাজতের কিছু দাবিকে আমি সমর্থন করি। কারণ এ ধরনের মুর্তি বিশ্বের আর অন্য কোন আদালতের সামনে আমি দেখতে পাইনি।
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমার সাথে জোট করার ব্যপারে ২৫ টি দল এসেছে। তার মধ্যে ৬ টি দল নিবন্ধিত আছে। এ বিষয়ে এই মাসেই সিদ্ধান্ত নিবো।’
শুক্রবার রংপুর পল্লীনিবাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে ছিলেন পার্টির কো চেয়ারম্যান জিএম কাদের, রুহুল আমিন হাওলাদার, রংপুর মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জেলা সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, মহানগর সেক্রেটারী এসএম ইয়াসির, জেলা সেক্রেটারী আসিফ শাহরিয়ার, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাফিউল ইসলাম শাফীসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, ‘আমি হেফাজত করি না। তবে হেফাজতের এমন দাবিকে সমর্থন করি। কারণ এ ধরনের মুর্তি বিশ্বের আর অন্য কোন আদালতের সামনে আমি দেখতে পাইনি। এ মূর্তি এখানে না বসালে কি হতো তাও আমার জানা নেই। এটা গ্রীক মূর্তিও নয়। এটা শাড়ি পড়া মূর্তি। এ বিষয়ে আমার কোন মতামত নেই।’
এরশাদ বলেন, ‘তত্ববধায়ক সরকারের আমলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেয়া টাকা ফেরতের জন্য আদালত যেটা নির্দেশ দিয়েছে। সেটা সঠিক নির্দেশনা দিয়েছে। টাকা তো জোর করে নিয়েছিল তারা। সেজন্য আদালতের নির্দেশ সঠিক বলে করি। তাদের টাকাটা ফেরত দেয়া উচিত।’
জঙ্গি প্রসঙ্গে পরে কথা বলার কথা জানিয়ে এরশাদ বলেন, ‘দেশে নানা ঘটনা ঘটছে দেখছি। একটার পর একটা। এসব বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।’
পাঁচ দিনের সফরে এরশাদ শুক্রবার রংপুরে আসেন। শনিবার তিনি রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সম্মেলনে যোগ দিবেন। এছাড়াও রোববার আক্কেলপুর স্কুল এন্ড কলেজ এবং সোমবার মাহিগঞ্জ কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন।