ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজু: বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিএনপির বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী আজ বলেছেন, ব্যাংক ডাকাতি শেখ মুজিব পরিবারের জন্য নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং এটা তাদের খানদানী পেশা।
দৈনিক প্রথম বাংলাদেশের কাছে আওয়ামী লীগের সেকাল এবং একাল বিশ্লেষণ করে জনাব সাদী বলেন, ঐতিহ্যগত ভাবে ফ্যাসিস্ট চরিত্রের এই দলের কাছে কখনও জনকল্যাণমূলক কিছু আশা করা যায় না। লুটপাট ও সীমাহীন দুর্নীতি তাদের মজ্জাগত চরিত্র ।
৭৪ এর ভয়াবহ দূর্ভিক্ষ এবং বর্তমান আওয়ামী শাসনের অভূতপূর্ব লুটপাটের কাহিনী তারই প্রমাণ বহন করে। সাম্প্রতিক সময়ের চাঞ্চল্যকর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপুল পরিমান অর্থ লোপাট প্রসঙ্গে সাদী বলেন, "ব্যাংক ডাকাতি শেখ পরিবারে খানদানী পেশা। আওয়ামী লীগের প্রথম শাসনামল ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে মুজিব তনয় শেখ কামাল নিজে ব্যাংক ডাকাতি করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় তার বোন হাসিনা এবং ভাগ্নে সজীব ওয়াজেদ জয় নিত্য নতুন পদ্ধতিতে ব্যাংক ডাকাতি করে চলেছেন যা জনগণের কাছে মোটেও অপ্রত্যাশিত নয়।
প্রবাসে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর সাদী আরও বলেন, একারণে হাসিনার আমলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রায় ৬ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা (৮৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) খরচ হয়েছে ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে, শেয়ার বাজার লোপাট, ডেসটিনি, যুবক, সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, হলমার্ক গ্রুপ ইত্যাদি অর্থ কেলেংকারীর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় লুট করা হয়েছে, কিন্তু তার কোন বিচার কিংবা সুরাহা আজও হয়নি।
আজ বিবিসি'র শিরোনামে 'রিজার্ভ চুরির হোতারা বাংলাদেশ ব্যাংকেই আছে' এই খবর প্রকাশের দুই ঘন্টার ভিতর বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ফরেন এক্সচেজ্ঞের ফ্লোরে আগুনের ঘটনাকে আমি পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড বলে মনে করি।
শেখ পরিবারের খানদানী কার্যক্রমের প্রমাণাদি ধ্বংসের জন্য এই পরিকল্পিত অগ্নিকান্ড। রাষ্ট্রের এই ধরণের কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত ভবনে রাতের আঁধারে অগ্নিকান্ড সাধারণ মানুষের মাঝে প্রশ্ন তুলেছে। এ যেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার কল্পকাহিনীর মতো এক গল্প।
সাদী আরও বলেন, যে শোষণহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনি দেখেন। শেখ হাসিনার অপশাসনের বিরুদ্ধে দেশের পাশাপাশি প্রবাসে জাতীয়তাবাদী বিশ্বাসীরা যেভাবে মাথা উঁচু করে প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন তাতে তিনি অত্যন্ত গর্বিত।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আওয়ামী-বাকশালী দুঃশাসন এবং শোষণ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামীতে একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।