ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। ক্ষমতাসীন অবৈধ হাসিনা সরকারের অঢেল অর্থ,সরকারী বাহিনী এবং পেশী শক্তিকে উপেক্ষা করে কুমিল্লা বাসী দেশনেত্রী মনোনিত প্রার্থীকে গনরায় দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন।
বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মনিরুল হক পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা পেয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৬৩ ভোট। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মোট ভোটার ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২ হাজার ৪৪৭ জন আর নারী ১ লাখ ৫ হাজার ১১৯ জন। এই ভোটারদের মধ্যে অন্তত ৩৮ হাজার সংখ্যালঘু ও ৩০ হাজার নতুন ভোটার। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ওয়ার্ড ২৭টি।
১০৩টি ভোটকেন্দ্রের ৬২৮টি বুথে বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়। কুমিল্লায় এটি দ্বিতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন।
এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে মেয়র পদে এখানে নির্বাচন হলো। ১৪ দলের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের মেয়ে। ২০১২ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আফজল খান বিএনপির প্রার্থী কাছে হেরে যান। এবারও বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক।
এর বাইরে মেয়র পদে শিরিন আক্তার (জেএসডি) ও মামুনুর রশীদ (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫৪ জন। নির্বাচনে ৭৬০ জন প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেন।
১ হাজার ৬৭৮ জন পুলিশ, ১ হাজার ২৩৬ জন আনসার, র্যাবের ৩৩৮ ও বিজিবির ৬০০ জন সদস্য, ২৭টি ওয়ার্ডে ৩৬ জন নির্বাহী হাকিম ও বিচারিক হাকিম দায়িত্ব পালন করেন।