ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অনেকেই আজ শনিবার সকাল থেকে তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ পাচ্ছেন। হঠাৎ এ অবস্থার মধ্যে পড়ে অনেকেই অবাক হয়েছেন।
এখন বন্ধ হওয়া অ্যাকাউন্ট চালু করতে যাচাই (ভেরিফিকেশন) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে বলছে ফেসবুক। জাতীয় পরিচয়পত্র, মেইল ঠিকানা ও অ্যাকাউন্ট নাম ফেসবুকের কাছে পাঠিয়ে তা পর্যালোচনার জন্য জমা দিতে বলা হচ্ছে।
হেল্প সেন্টারে গিয়ে ‘সাবমিট অ্যান আপিল’ লিংকে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে তা পর্যবেক্ষণে রাখছে ফেসবুক।
গত বৃহস্পতিবার ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধের বিষয়ে একটি বার্তার মাধ্যমে ঘোষণা দেয় ফেসবুক। যোগাযোগ মাধ্যমটির কর্মকর্তা শবনম শাইক এক বার্তায় জানান, ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বিভিন্ন প্রতারণা করা হচ্ছে। ভুয়া অ্যাকাউন্টগুলো বিভিন্ন ফেসবুক পেজে প্রথমে লাইক দেয়। পরে সেসব পেজের বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে কমেন্টের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নিজেদের প্রচারণা (স্প্যামিং) চালায়।
এ কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওই অ্যাকাউন্টগুলোর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে গুজব, মিথ্যা তথ্য ও ভুল খবর ছড়ানো হয় বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের ওই কর্মকর্তা।
তবে ফেসবুক এব্যাপারে যাই বলুক না কেনো বাংলাদেশে এভাবে বিধিনিষেধ জারি করার অন্যতম কারন হচ্ছে ফেসবুকে হাসিনা সরকার বিরোধী প্রচারনা কোনো ভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না সরকার।বিগত বছরগুলোতে বারকয়েক কিছু সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ করেও জনমতের চাপে আবার খুলে দিতে বাধ্য হয়েছিলো।এবিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।