ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিগত কয়েকদিন বাংলাদেশের টক অব দি টাউন হচ্ছে ঘোষনাতব্য বিএনপির ২০৩০ সালের রুপকল্প ।
জানা আগামীতে ক্ষমতায় গেলে নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা সুনির্দিষ্টভাবে তুলে ধরতেই ‘ভিশন-২০৩০ ফর বাংলাদেশ’ প্রকাশ করবে বিএনপি।
তবে প্রকাশের আগেই অবৈধ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী গন যেভাবে এই রুপকল্পকে নকল,ধাপ্পাবাজী ইত্যাদি অকথ্য ভাষায় গনমাধ্যমে গালাগালী করছেন,তাতে করে এর সম্পর্কে জনগনের আগ্রহ যে বহুগুনে বেড়ে গিয়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ রূপকল্প প্রকাশ করবেন। এ অনুষ্ঠানে ২০ দলীয় জোটের বাইরেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বুদ্ধিজীবী, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেনি আওয়ামী লীগ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, বিএনপি যদি আগামীতে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় যায়, তাহলে কিভাবে সরকার পরিচালিত হবে, সুশাসন কিভাবে নিশ্চিত করা হবে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কোন পথে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, ভিশন-২০৩০ তারই একটি রূপকল্প।
‘ভিশন-২০৩০’ নিয়ে দেড় বছর ধরে কাজ করছে বিএনপি। গত বছরের ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ কউন্সিলে প্রথমবারের মতো দলের এই ভিশন সামনে আনেন বেগম খালেদা জিয়া। সেটি তখন ছিল অনেকটাই খসড়া পর্যায়ে।
গত কয়েকমাস ধরে এ নিয়ে দলটির সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন। গত সোমবার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে ভিশন ২০৩০ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সিনিয়র নেতারা মঙ্গলবার দুপুরেও এ নিয়ে বৈঠক করেন।
জানা গেছে, নতুন ধারার রাজনীতি প্রবর্তন, সৃজনশীল উদ্যোগের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, মন্ত্রণালয় ভিত্তিক পরিকল্পনা, গণভোট চালু, জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনাসহ নানা বিষয় থাকছে 'ভিশন-২০৩০'-এ।