ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সিলেটে গ্রেফতার এড়াতে পুলিশকে তাৎক্ষনিক ভাবে ১০ কোটি টাকা অফার করেছিল বহুল আলোচিত দুই ধর্ষক সাফাত ও সাদমান সাফিক।
রাজধানীর বনানীতে একটি আবাসিক হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রণ করে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার মূল আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে সিলেটে গ্রেফতার করে ঢাকায় আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সিলেট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় আসামিরা তাদের গ্রেফতার না করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের ১০ কোটি টাকার অফার করেছিল। কিন্তু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ কথা শুনে প্রচন্ড খেপে যান এবং দুজনকেই বেশ কয়েকটি চড় থাপ্পড় মেরে আটক করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়।
নাঈম আশরাফসহ ধর্ষণ মামলার অন্য আসামিরা যেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে চলে যেতে না পারে সেজন্য সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সতর্কতা জারি করা হয়েছিলো।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সাফাত আহমেদ নামে এক বন্ধুর জন্মদিনে যোগ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণী। ওই ঘটনায় ৪০ দিন পর গত ৬ মে সন্ধ্যায় বনানী থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ( মামলা নং ৮)।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- সাদনান সাকিফ, তার বন্ধু সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের ড্রাইভার বিল্লাল ও তার দেহরক্ষী গানম্যান আবুল কালাম আজাদ।
আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদ কেনো সবসময় স্বশস্ত্র গানম্যান নিয়ে চলাফেরা করতো তাও সকলের কাছে প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।এমনকি তাদের লাইসেন্সকৃত অস্ত্রপাতির উৎসও খতিয়ে দেখা দরকার বলে অপরাধ বিশেষজ্ঞগন মনে করেন।