ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সাফাত আহমেদ। আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে। বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের নানা বিষয় উঠে আসছে গণমাধ্যমে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের ছাত্র সাফাত বখে যায় বেশ আগেই।
যার পরিণতিতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ জন্য সাফাতের পিতা দিলদার আহমেদ সেলিম উঠে এসেছেন আলোচনায়। সাফাতের সাবেক স্ত্রী মডেল পিয়াসা দাবি করেছেন দিলদার আহমেদ সেলিমই তার ছেলেকে বিপথগামী করেছেন।
চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে পিয়াসা বলেছেন, বিয়ের আগেই মেয়েদের নিয়ে ঘুরতো সাফাত। তার বাবাই তাকে প্রশ্রয় দিয়েছেন। ওর বাবা তো টাকা ছাড়া কিচ্ছু বুঝেন না। মনে করেন টাকা হলেই হলো। পুরো দুনিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দিলদার আহমেদ তার স্ত্রীকেও প্রাপ্য মর্যাদা দেননি। এসব দেখেই তো সাফাত শিখেছে।
পিয়াসা বলেন, ছেলেকে কিভাবে ভালো মানুষ হিসেবে গড়া যায়, ভালো পথে পরিচালনা করা যায় তাতো তিনি বুঝেনই না।
পিয়াসা আরো বলেন, সাফাতের সঙ্গে নাঈম আশরাফকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুতা করার সুযোগ দিয়েছিলেন তার বাবা দিলদার আহমেদ। মাঝে-মধ্যে রাতের বেলা নাঈম আশরাফকে ডেকে নিতেন তিনি। ছেলের খোঁজখবর নিতেন। কিভাবে আমার কাছ থেকে সাফাতকে দূরে সরানো যায় সেই কূটচাল খেলতেন। আমার থেকে তাকে আলাদা করে তো ভালো হয়নি। এখন ওরা সমাজে কিভাবে মুখ দেখাবে। দিলদার আহমেদ সেলিমই যে তার ছেলেকে নষ্ট করেছেন তা শুধু আমি কেন সাফাতের মাও তাই বলেন। বাবার জন্যই ছেলেটা নষ্ট হয়েছে। তার বাবা তার সকল অপকর্ম সমর্থন করতেন। বিয়ের পর তিনি আমাকে মেনে নিতে পারেননি। আমি চেষ্টা করেছি সংসার করতে। সাফাতের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে। কিন্তু সাফাতের বাবা তা চাননি। আমাকে বিয়ে করার কারণে সাফাতকে পিস্তল দিয়ে গুলি করেছিলেন তিনি। শুধু তাই না আমাকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছিলেন। সন্ত্রাসী ভাড়া করেছিলেন দুবাইয়ে। দুবাইয়ে গেলে আমাকে হত্যা করার নির্দেশ ছিল। বিষয়টি জানার পর আমার নিরাপত্তা চেয়ে ভাটারা থানায় সাফাত একটি সাধারণ ডায়েরি করেছিলো।
পুত্রবধূ হিসেবে কেন তাকে মেনে নেননি? জানতে চাইলে পিয়াসা বলেন, তা তিনিই বলতে পারবেন। বিষয়টি আমার জানা নেই।
সাফাতের সঙ্গে ডিভোর্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৮ই মার্চ ডিভোর্স লেটার দিয়ে দেশের বাইরে চলে যায় সাফাত। অথচ তার আগের দিনও একসঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছি আমরা। তবে এখনো সাফাতের সঙ্গে নিজের যৌথ ছবি রেখেছেন ফেসবুকে।
তিনি জানান, সাফাতকে তিনি ভালোবাসতেন। তার কোনো ক্ষতি হোক তা কখনও চাননি।