ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী সন্তাসীদের হাতে নিহত খুলনার বিএনপি নেতা সরদার আলাউদ্দীন মিঠুর জানাজায় দল-মত নির্বিশেষে দূর-দূরন্ত থেকে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিই তার বিপুল জনপ্রিয়তার কথাই মনে করিয়ে দেয়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফুলতলা নতুনহাট এলাকায় চেয়ারম্যান বাড়ি চত্বরে অনুষ্ঠিত সরদার আলাউদ্দিন মিঠু ও তার দেহরক্ষী নওশের আলী গাজীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল তার পিতা ও বড় ভাইয়ের জানাজাও। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে তাঁর কফিনে দলীয় পতাকা ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
জানাজা শেষে সরদার আলাউদ্দিন মিঠুকে নিকটস্থ আবুল কাশেম একাডেমী চত্বরে পিতা আবুল কাশেম ও বড় ভাই আবু সাঈদ বাদলের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। আর নওশের আলী গাজীকে তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
জানাজা পূর্ব বক্তৃতায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের নিশ্চিহ্ন করার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। একই পরিবারের পিতা ও পুত্ররা একের পর এক খুন হচ্ছে। কিন্তু কোন বিচার হচ্ছে না। ফলে সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীরা খুনের উন্মাদনায় মেতে উঠেছে। নিজ অফিসের মধ্যে এভাবে খুন সরকারের মদদ ছাড়া সম্ভব নয়। এ খুনের দায় কোন অবস্থাতে সরকার এড়াতে পারে না। অবিলম্বে মিঠু হত্যার রহস্য উন্মোচনসহ খুনিদের আটক করতে হবে।
অন্যথায় খুলনা অচল করে দেয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন বক্তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও নগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মন্জু, সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জয়ন্ত কুন্ডু, জেলা বিএনপি’র সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, এড. গাজী আব্দুল বারী, অধ্যাপক ডাঃ গাজী আব্দুল হক, কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, আমির এজাজ খান, অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম নান্নু, জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ইমরান হুসাইন, মিয়া গোলাম কুদ্দুস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গাউসুল আজম হাদি, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবুল বাশার, মাওলানা সাইফুল হাসান খান প্রমুখ।
পরিবারের পক্ষে নিহত মিঠুর ভাই সেলিম সরদার আবেগজড়িত কণ্ঠে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের ভালোবাসায় আমরা সিক্ত, আমার পরিবার ঋণী। প্রয়োজনে আপনাদের ভালোবাসার ঋণ শোধ করতে আরো রক্ত দিতে প্রস্তুত।