দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ তৃণমূল কমিটি নিয়ে ক্ষোভের কারণে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজিম।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার একটি ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দল থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
কর্নেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজিম বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে, দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত না নিয়ে কোন প্রকার সম্মেলন ছাড়াই রাতের অন্ধকারে লাকসাম উপজেলা, পৌরসভা এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদল-ছাত্রদলের পকেট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমি জেনেছি যুবদল ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা জেলা কমিটির নেতাদের ডেকে এনে এসব কমিটিতে স্বাক্ষর করিয়েছেন।
আমি বিষয় গুলো বিএনপির হাইকমান্ডকে বার বার জানিয়েছি। ম্যাডামের সাথে দুইবার দেখা করেছি, তিনি কোনো সদুত্তর দেননি। যার দল করি, তার যদি ইনসাফ না থাকে সে দল করে লাভ কি? এসব পকেট কমিটি ঘোষণার পর থেকেই আমি দলের তৃণমূল ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের কাছে বার বার প্রশ্নের মুখে পড়েছি। কিন্তু আমি তাদের কোন উত্তর দিতে পারছি না। যারা বিএনপিকে ভালোবেসে আমার কথায় আন্দোলন সংগ্রামে গিয়ে বার বার নির্যাতিত হয়েছে।
একের পর এক হামলা আর একাধিক মামলার স্বীকার হয়েছে যারা, তারাই আজ পদবঞ্চিত হয়েছে। ১৮ বছর পর প্রতিবাদ স্বরুপ দল ছাড়লাম। অন্য কোনো রাজনৈতিক দলে যাবো না, সামাজিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবো।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, আমিও শুনেছি আজিম ভাই দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু বিষয়টি আমার কাছে পরিস্কার নয়। কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে যুবদল আর ছাত্রদলের। কেন এভাবে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে সেটা যুবদল-ছাত্রদলের নেতারাই ভালো বলতে পারবেন।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সম্প্রতি ঘোষণা করা এসব কমিটির সভাপতি-সম্পাদকসহ উল্লেখযোগ্য পদে দায়িত্ব পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালামের অনুসারীরা। কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো কর্নেল (অব.) এম.আনোয়ারুল আজিম ও আবুল কালামের মধ্যে। তবে বিএনপির মূলধারা নিয়ন্ত্রণে ছিলো কর্নেল (অব.) এম.আনোয়ারুল আজিমের হাতেই।
এসব বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক ও লাকসাম উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালামের ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।