ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃসম্প্রতি সৌদী আরব সহ ৬টি উপসাগরীয় দেশ কাতারের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কাতারের সহায়তায় সেখানে সেনা মোতায়েন করার ঘোষনা দিয়েছে তুরস্ক।
এ বিষয়ে একটি প্রস্তাবও পাস করেছে তুরস্কের পার্লামেন্ট। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, কাতারে রয়েছে তুরস্কের সেনা ঘাঁটি। কাতার যখন কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিকভাবে একঘরে হয়ে পড়ছে তখন তাদেরকে সহায়তার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। এ বিষয়ে আগে থেকেই একটি খসড়া প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছিল মে মাসে।
বুধবার এ প্রস্তাবের ওপর ভোট হয় তুরস্কের পার্লামেন্টে। এর পক্ষে পড়ে ২৪০ ভোট। এতে সমর্থন দেয় ক্ষমতাসীন একে পার্টি ও বিরোধী জাতীয়তাবাদী এমএইচপি।
উল্লেখ্য, কাতার হলো তুরস্কের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র। সেখানে তারা ইতিমধ্যেই একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করছে। এ ছাড়া কাতারে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রেরও সবচেয়ে বড় বিমান ঘাঁটি।
গত সোমবার এ দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মালদ্বীপ। পাশাপাশি বন্ধ করে দেয়া হয় সব বাণিজ্যিক ফ্লাইট। তাদের অভিযোগ কাতার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। এ অভিযোগ বারবার অস্বীকার করছে কাতার।
আরব রাষ্ট্রগুলোর এমন অবস্থানের সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, কাতারকে একঘরে করে রাখা ও তার বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ায় কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। তবে সংকট সমাধানে যেকোনো রকম সহায়তা দেবে আঙ্কারা।
এদিকে কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল করেছে ফিলিপাইন। এর অধীনে ফিলিপাইনের যেসব নাগরিক কাতারে কাজ করেন তারাই শুধু সেখানে যেতে পারবেন। ফিলিপাইনের শ্রম ও কর্মসংস্থান বিভাগ থেকে বুধবার এ কথা জানানো হয়েছে।
এ খবর দিয়েছে ফিলিপাইনের অনলাইন ডেইলি ইনকুইরার। সম্প্রতি কাতার পরিস্থিতিতে সেখানে নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিলিপাইন। দেশটির শ্রম বিষয়ক সচিব তৃতীয় সিলবেস্টার বেলো বলেছেন, যেসব ফিলিপিনোর কাছে ওভারসিস এমপ্লয়মেন্ট সার্টিফিকেট আছে এবং যারা কাতার থেকে ছুটিতে ফিলিপাইনে ফিরেছেন শুধু তারাই এখন কাতার ফিরে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে দু’দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। তবে নতুন করে নিয়োগ করা হবে এমন ফিলিপিনোদের এই শিথিলতার আওতায় কাতারে যেতে অনুমতি দেয়া হয় নি।
সিলবেস্টার বেলো বলেন, কাতারে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্রাইসিস কমিটি বৈঠক করেছে। কাতার পরিস্থিতিতে নজরদারি করার জন্য তিনি এ কমিটি গঠন করেছিলেন। কাতারে ফিলিপাইন ওভারসিস লেবার অফিস থেকে পাওয়া সর্বশেষ সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়। তারপরই নিষেধাজ্ঞা আংশিক শিথিল করার সিদ্ধান্ত হয়। তিনি বলেন, কাতার দূতাবাস নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, সেখানে পর্যাপ্ত খাবার আছে। শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্র নিরাপদ রয়েছে। এসব জানিয়ে কাতার দূতাবাস চিঠি লিখেছে।