ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিন্মোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ–
“পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ঈদ মুবারক।
ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর, পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষে মোমিন মুসলমানেরা মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে ঈদুল ফিতর সমাগত।
বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর। উৎসব মানুষের আনন্দময় স্বত্তার জাগরণ ঘটায়। তার আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে। ঈদুল ফিতরের উৎসবে সমাজের সকল ভেদরেখা ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায় ও সৃষ্টি করে পরষ্পরের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছাবোধ। ধনী-গরিব, উচু-নিচু নির্বিশেষে সকল মানুষকে এক কাতারে দাঁড় করায়।
হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ ও তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক স্বর্গীয় শান্তি ও সম্প্রীতির চেতনা দান করে ঈদুল ফিতরের উৎসব। তাই আজকের এই উৎসবের দিনে প্রতিটি মুসলমান নর-নারী সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে।
ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌঁছে দেয় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলে আমরা’। এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায় ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য।
চাঁদাবাজীর জুলুম, সন্ত্রাসের নানা ডালপালা এবং নিত্য পণ্যের চরম মূল্য বৃদ্ধির অভিঘাত সত্ত্বেও ঈদ আমাদের জাতীয় জীবনে সংস্কৃতির দ্যোতক, আবহমান কাল থেকে শুভেচ্ছা ও আনন্দের আদান-প্রদান। স্বচ্ছল মানুষ দেশীয় উৎপাদক ও বিপন্ন মানুষের কথা মনে রেখে বিদেশ না গিয়ে ঈদের কেনাকাটা দেশেই করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে আশা রাখি।
ঈদুল ফিতরের এই দিনে আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের দরবারে মোনাজাত করি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিন্মোক্ত বাণী দিয়েছেনঃ-
”পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বের মুসলমানদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। আমি বিশ্ব মুসলিমের অব্যাহত সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করি।
মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর মুসলমানদের জীবনে অনাবিল শান্তি ও আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতরের উৎসব মুসলমানদের নিবিড় ভাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ করে। দেশের বিদ্যমান ক্রান্তিকালে সকল সামাজিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে মুসলমানরা এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের আনন্দ নিজেরা ভাগ করে নেবে। তাই ঈদুল ফিতরের শিক্ষা থেকে আমাদের অঙ্গীকার হোক সকল হিংসা, বিদ্বেষ ও হানাহানি থেকে মুক্ত হয়ে ঐক্যবদ্ধ ও ভালোবাসাপূর্ণ সমাজ এবং দেশ গঠনের জন্য একযোগে কাজ করা।
আজকে এই পবিত্র দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমীয় ধারা। পবিত্র ঈদুল ফিতরের এই দিনে আমি এই কামনা করি।
আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।”
(এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী)
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।