ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ সৌদী আরবের ক্ষমতাসীন রাজপরিবারের ভেতরকার দন্ধ আরও প্রকট আকার ধারন করেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সৌদি আরবের ক্ষমতাচ্যুত ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে জেদ্দা নগরীর নিজ প্রাসাদে গৃহবন্দি করা হয়েছে।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ গত ২১ জুন ভোরে তাকে সরিয়ে নিজের ছেলে ৩১ বছরের মোহাম্মদ বিন সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করেন।
এর এক সপ্তাহ পর ক্ষমতাচ্যুত বিন নায়েফকে গৃহবন্দি করার খবর এলো।
ধারণা করা হচ্ছে, রাজার ছেলে বিন সালমানের নয়া ক্ষমতাকে সুসংহত করার জন্যই চাচাতো ভাই বিন নায়েফকে বন্দি করা হয়েছে।
সৌদি রাজ পরিবারের ঘনিষ্ঠ দুটি সূত্র মোহাম্মদ বিন নায়েফকে গৃহবন্দি করার খবর নিশ্চিত করেছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান।
এর আগে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বিন নায়েফকে গৃহবন্দি করার খবর প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মোহাম্মদ বিন নায়েফ জেদ্দায় তার প্রাসাদে ফিরে আসেন। এরপর এর প্রহরায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত তার অনুগত প্রহরীদের সরিয়ে দিয়ে মোহাম্মদ বিন সালমানের অনুগত প্রহরী মোতায়েন করা হয়।
এর ফলে মনে করা হচ্ছে, বিন নায়েফ এবং রাজ পরিবারে তার ঘনিষ্ঠ সদস্যদের সৌদি আরব ত্যাগ ঠেকাতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের এ খবর মোটেই সত্য নয় বলে সৌদির একজন সিনিয়র কর্মকর্তা দাবি করেছেন বলে জানায় গার্ডিয়ান।
অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, এখন আসলে পালাবদলের সময়। মোহাম্মদ বিন সালমান কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চান না। এটি গৃহবন্দিত্ব নয়। মোটেই এরকম কিছু নয়।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ বিন নায়েফ গত ১৫ বছর ধরে সৌদি আরবের সবচেয়ে প্রভাবশালী নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে প্রয়াত রাজা আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজের মেয়াদকালে তিনি সৌদির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
পরে নতুন রাজা সালমান ক্ষমতাগ্রহণের পর বিন নায়েফকে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করা হয়।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদা দমনে মোহাম্মদ বিন নায়েফ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে আসছিলেন। সৌদির মিত্ররা তাকে একজন নির্ভর করার মতো বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি মনে করতো।