ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, ভোটের মালিক জনগণ, তারা ভোট দেবে তাদের ইচ্ছামতো। যাকে তারা চায় তাকেই তারা পাবে। কিন্তু আমার একটাই লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন করে যাওয়া।
শনিবার দুপুরে এসএসএফের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দরবার হলে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের বেতন বৃদ্ধি করেছি। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো দেশে ১২২ ভাগ বেতন বৃদ্ধি এটা কোনোদিন কেউ করতে পারেনি। প্রত্যেকের বেতন বৃদ্ধি করে আমরা উন্নয়ন বাজেটকে আরও বেশি করে দিয়েছি। যার ফলে আজকে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে, আমার পরিবারের বিরুদ্ধে, মন্ত্রিপরিষদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, এখানে জনগনের সেবা করার জন্য এসেছি। দুর্নীতি করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আসিনি। দুর্নীতি করে ভাগ্য গড়তে চাইলে অনেক আগেই করতে পারতাম। আমি রাষ্ট্রপতির মেয়ে ছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে ছিলাম। দুর্নীতি করতে চাইলে তখনই করতে পারতাম।
তিনি বলেন, এটা একাট ষড়যন্ত্র ছিল। তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি। কানাডার আদালত রায় দিয়েছে, এটা সম্পূর্ণ বানোয়াটা, মিথ্যা একটা অভিযোগ ছিল। আমি বাংলাদেশের মানুষের মাথা নিচু করিনি। এটুকু অন্তত বলতে পারি। বরং মাথা উচু হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ তে সরকার উৎখাতের নামে বিএনপি-জামায়াত মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। ওটাই নাকি তাদের আন্দোলন। আমি এমন আন্দোলন জীবনে দেখিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা কোন ধরনের আন্দোলন আমার বোধগম্য না। সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের প্রতিহত করেছে। বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে ৫০০র বেশি মানুষ মারা গেছে। রেল লাইন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এসব দেখেছে।বাংলাদেশের জনগন আর তাদের চায় না এটা প্রমানিত।