ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্কে বিশ্বাস করে।
রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার রফিউজ্জামান সিদ্দিকী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেখা করতে গেলে তিনি একথা বলেন।
বৈঠকের পরে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতাও চলমান থাকবে এবং যে কোনো সমস্যাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সীমান্ত এবং সমুদ্র সীমা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছে। ভারতের সংসদ সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত বিলটি সর্ব সম্মসতভাবে অনুমোদন করেছে। ভারতের সঙ্গে সমস্যাটির শান্তিপূর্ণ সমাধান সমগ্র বিশ্বের কাছে একটি উদাহারণ সৃষ্টি করেছে।
শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন, একইভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সমস্যার সামাধান করা হয়েছে। আমরা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত থেকে ৬২ হাজার শরনার্থী ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিদ্রোহের অবসান ঘটিয়েছি।
দারিদ্রকে এই অঞ্চলের প্রধান শত্রু পুনরোল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের দেশগুলো থেকে দারিদ্রের মূল উৎপাটনে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদের হুমকির প্রসঙ্গে বলেন, আসলে এতে করে অস্ত্র ব্যবসায়ীরাই লাভবান হচ্ছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করে এ সময় পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ধারায় পুরোপুরি পরিবর্তিত একটি দেশ।
রফিউজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ হয়েছেন তাতে পাকিস্তানের জনগণও আনন্দিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যে অনেক সাধারণ বিষয় রয়েছে এবং দু'দেশের সম্পর্ক উন্নয়নেই তিনি কাজ করে যেতে চান।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহম্মদ জয়নুল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।