DMCA.com Protection Status
title="৭

ডিজিটাল তেলেসমাতিঃ নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ চলছে দেদারসে,উৎপাদন তুঙ্গে, কিভাবে ???

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশে ভয়াবহ পরিবেশ দুষনকারী  পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো প্রায় এক যুগ আগে বিএনপির আমলে। কিন্তু পুরান ঢাকার কয়েক হাজার কারখানায় এখনও চলছে পলিথিন ব্যাগ-মোড়কের উৎপাদন।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, ঢাকায় একটি পরিবার প্রতিদিন গড়ে ৫টি করে পলিথিনের ব্যাগ ব্যাবহার করে। এসব বর্জ্য হিসেবে পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি রাজধানীতে সৃষ্টি করছে ভয়াবহ জলাবদ্ধতাও। তবে, বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দাবি, পলিথিনের ব্যবহার কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

 

পুরান ঢাকার ইসলামবাগ এলাকা। ঘিঞ্জি গলির বদ্ধ ঘরে পলিথিনের ব্যাগ-প্যাকেট তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। ২০০২ সালে আইন করে পলিথিন নিষিদ্ধের পরও সিটি করপোরেশনের সনদ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে লালবাগ, চকবাজার ও সোয়ারী ঘাটে কয়েক হাজার কারখানায় চলছে উৎপাদন। পলিথিন কর্মচারীদের দাবি এসব পলিথিন মাটিতে পঁচে যায়।

একই চিত্র দেখা যায় কামরাঙ্গীর চরে। বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে অসংখ্য কারখানা। পলিথিন নিষিদ্ধ জেনেও কাজ করছেন শ্রমিকেরা। আর এসব কারখানা থেকে বাজারে আসছে পলিথিন। জেনেশুনেই ব্যবহার করছেন নগরবাসী। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবার হিসাবে, রাজধানীতে পরিবার-প্রতি দিনে ব্যবহার হয় অন্তত পাঁচটি পলিথিনের ব্যাগ। সে হিসাবে নগরীতে বর্জ্য হিসেব ফেলা হচ্ছে কয়েক কোটি পলিথিন।

এ সম্পর্কে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, প্রতিটা ঘরে পলিথিন ব্যবহার হয়। বাজারে প্রচুর পরিমান পলিথিন ব্যবহার হচ্ছে। এগুলো বন্ধের ব্যবস্থা সরকারকে দ্রুত নিতে হবে।’

পলিথিন জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ভয়ানক হুমকি জানিয়ে, পরিবেশবিদেরা বলছেন, নিষিদ্ধ করাই এ সংকটের একমাত্র সমাধান নয়, দরকার জরুরি ভিত্তিতে পুনর্ব্যবহারের উদ্যোগ। এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজা খাতুন বলেন, পলিথিন উৎপানকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবহারকারী এবং যারা পলিথিন বাজারজাত করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।’

পলিথিন বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে পরিবেশবিদেরা প্রশ্ন তুললেও, কথা বলতে নারাজ সংস্থাটি। তবে বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর দাবি, পলিথিনের ব্যবহার কমছে। কিন্তু এর পুনর্ব্যবহার প্রশ্নে কিছু বলছেন না তিনি। পাশাপাশি পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে জন-সচেতনতায় জোর দিচ্ছেন পরিবেশমন্ত্রী।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!