ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ "জাতির জনকের প্রত্যক্ষ খুনীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু পর্দার অন্তরাল থেকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু খুনের সঙ্গে জড়িত কুলাঙ্গার জিয়া ও মোস্তাকদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে। জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধুই বেশি শক্তিশালী- জাতির কাছে তা আজ বোধগম্য। "
আজ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শোকাবহ আগস্ট শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণসভায় এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
মন্ত্রী বলেন, "বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে প্রমাণিত হয় তিনি বিশ্বসেরা কূটনীতিক। তার নির্দেশেই দেশের জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয় এবং স্বাধীনতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৪ বৎসর আন্দোলন করেন। " তিনি বলেন, "বঙ্গবন্ধু এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক যিনি সবাইকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েই ক্ষান্ত হননি, স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করেছেন। বঙ্গবন্ধুই সমুদ্র আইনে প্রথম মামলা করেন, শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন এবং স্বাধীনতা উত্তরকালীন ব্যাপকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে স্বাভাবিক ও দেশের উন্নয়নের ধারা ত্বরান্বিত করছিলেন তখনই ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। "
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. প্রিয়ব্রত পাল সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী।
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।