ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং অবৈধ হাসিনা সরকারের সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন এখন লন্ডনের টেমস নদীর তীরে খালেদা জিয়ার ভ্যানিটি ব্যাগের ভেতরে। সারাদেশে পানি বাড়লেও বিএনপির আন্দোলনের মরা গাঙ্গে আর জোয়ার আসে না। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে মাঠ গরমের কৌশলও এখন ভেস্তে গেছে। মির্জা ফখরুলের ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন খোয়াব, ফাপানো বেলুন এখন চুপসে গেছে। তাই ফখরুল সাহেব এখন আবল-তাবল বকছেন। রায় ঠিক মতো না পড়েই তারা বিভিন্ন কথা বলছেন। রায়ে জিয়াউর রহমানকে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী উল্লেখ থাকলেও সেটি তারা বলছেন না। আসলে এটি এখন তারা স্বীকার করে নিয়েছেন। সেজন্য ফখরুল সাহেবকে ধন্যবাদ।
ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এখন আর ক্ষমতার দাপট কেউ দেখাবেন না। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দলের তথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ভাবমর্যাদা নষ্ট করবেন না। কারণ ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না। সবাইকে জনগণের কাছে যেতে হবে। এতোদিন যা হয়েছে তা বাদ দিন। এখন গরীব-অসহায় ও বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
আজ শুক্রবার সকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রঘুপুর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য সতীশ চন্দ্র রায়, শরীয়তপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য বিএম মোজাম্মেল হক, নেত্রকোনার সংসদ সদস্য সুমিত রায় নন্দী, দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক, প্রধানমন্ত্রীর এ.টু.ওয়াই বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্ত, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার আলী, বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রবি, বিরলের ৭নং বিজোড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় ইউপি সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মালেক, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফরিদ বিদ্যুৎ, ছাত্রলীগ সভাপতি সারোয়ারুল ইসলাম রাসেল প্রমুখ।
বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম.এ লতিফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলা চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ কালু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা বেগম সোনা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.বি.এম রওশন কবির, ৫নং বিরল ইউপি চেয়ারম্যান সবুজার সিদ্দিক সাগর, ১০নং রাণীপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আজম, ৮নং ধর্মপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাবুল চন্দ্র রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আজাদ মনি প্রমুখ।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের তার বক্তব্যের শুরুতে বিরল উপজেলার মানুষের উদ্দেশে বলেন, বিরলের মানুষ সত্যি বিরল সাহসী। এতো দুঃখ-কষ্টে থেকেও বিরল হাসিই প্রমাণ করে এ এলাকার মানুষ বিরল সাহসী। গেল বন্যায় এ অঞ্চলের মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেকে পথে বসে গেছে। আগামী রোববার প্রধানমন্ত্রী এলে সব ক্ষতি পূরণ করে দেবেন। বাড়িঘর হারা মানুষ তাদের বাড়িঘর ফিরে পাবেন।
তিনি বলেন, আমরা ফটোসেশন করতে আসেনি, শুধু রিলিফ দিতে আসিনি। আমরা সর্বস্বহারা মানুষের খাওয়া-দাওয়া ও পূনর্বাসন করতে এসেছি। আমাদের সরকার বাড়িঘরহারা মানুষের নতুন বাড়ি নির্মাণ করে দেবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ শেখ হাসিনার সরকারের উপহার। আজ দেশের ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৩ কোটি মানুষের হাতে মোবাইল ফোন, সাত কোটি মানুষের হাতে ইন্টারনেট। এ সবই শেখ হাসিনার অবদান। আপনারা আস্থা রাখুন, বিশ্বাস করুন। আওয়ামী লীগ আপনাদের শুধু দেয়। আমরা সাহায্য সহযোগিতা করবো। আর বিএনপি কিছুই দেবে না। বিএনপি এখন বাংলাদেশ নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। তারা কান্নাকাটি আর ঘরে বসে প্রেস ব্রিফিং ছাড়া কোনো আন্দোলন করছে না। ঈদের পর নাকি দুর্বার আন্দোলন হবে। কিন্তু ঈদের দুই মাস অতিবাহিত হলেও আন্দোলনের দেখা নেই। তাই বিএনপির কাছে প্রশ্ন কোন ঈদের পর আন্দোলন? রোজার ঈদ, কুরবানী ঈদ, এ বছরের ঈদ নাকি অন্য বছরের ঈদ। এভাবে করতে করতে আট বছর কেটে গেল। মানুষ কয় বছরই বা বাঁচবে? তাই তাদের আন্দোলন আর হবে না। আগামী নির্বাচনে আমরা নৌকার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকবো। নৌকার তথা শেখ হাসিনার বিজয়ে সবাই এক যোগে কাজ করবেন।