DMCA.com Protection Status
title="৭

আওয়ামী করনের ৬ মাসেই শীর্ষ ঋন খেলাপীর তালিকায় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ

 

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারী ব্যাংক আওয়ামী করনের ফলাফল ইতিমধ্যেই পেতে শুরু করেছে স্বনামধন্য এই ব্যাংকটি।

 দেশের খেলাপি ঋণের শীর্ষ তালিকায় ইসলামী ব্যাংকের নাম ইতিপুর্বে কখনও না থাকলেও পরিচালনা পরিষদ পরিবর্তনের মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই ব্যাংকটির নাম উঠে গেল ওই তালিকায়। একই সময়ে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১১ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ১৪৮ কোটি টাকায়, যা ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ।

খেলাপি ঋণের শীর্ষে রয়েছে সোনালী, বেসিক, ইসলামী ও ন্যাশনাল ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গত জুন প্রান্তিকের খেলাপি ঋণের প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে খেলাপি ঋণে শীর্ষে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক। গত ছয় মাসে বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল ২ হাজার ২৪৩ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে তা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৫২৮ কোটি টাকা। এ হিসাবে গত ছয় মাসে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। যা শতকরা হিসাবে দাড়ায় ৩৬ শতাংশ।

ব্যাংকটির এ অবনতিতে সারাদেশের ১ কোটি ২৫ লাখ গ্রাহক এবং শুভাকাংখিরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তাদের দুশ্চিন্তা এজন্যে যে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার তিন যুগে এমন অবনতি হয়নি। তবে ব্যাংটির পরিচালনা পরিষদের পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের অবৈধ সরকার সমর্থিত বিভিন্ন বিতর্কিত লোকজনের অন্তর্ভুক্তি এই অধঃপতনের জন্য দায়ী বলে তারা মনে করেন।

এছাড়া বেসরকারি খাতের বিতরণকৃত ঋণের শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি খেলাপি আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে। ব্যাংকটির মোট ঋণের ৭৬ দশমিক ৫২ শতাংশ খেলাপি, আর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭০৭ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, একদিকে খেলাপি ঋণ বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বিশেষ সুবিধায় নিয়মিত ঋণগুলো ঠিকমতো আদায় হচ্ছে না। ফলে প্রভিশন ঘাটতি বাড়ছে। আর এটি বেশি বাড়ছে সরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে। কারণ তাদের জবাবদিহিতা কম। তাই সরকারের উচিত এসব ব্যাংককে সাপোর্ট না দিয়ে ঋণ আদায়ের ওপর চাপ দেয়ার পাশাপাশি নতুন ঋণ বিতরণে কঠোর হওয়া। একই সঙ্গে যেসব বেসরকারি ব্যাংক প্রভিশন ঘাটতিতে রয়েছে, সেগুলোর ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তিনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতে প্রভিশন সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল ৪৩ হাজার ৬৪০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে সংরক্ষণ করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৪৪৯ কোটি আট লাখ টাকা। ফলে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ১৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!