ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মায়ানমার থেকে সরকারী বাহিনী আক্রমনে প্রানবাচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া অসহায় রোহিঙ্গাদের অবস্থা পরিদর্শন করতে কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে ৪০ মিনিট সময় কাটিয়েছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগান।
এ সময় তিনি সদ্য অনুপ্রবেশ করে আসা মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলেন। কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি ম্যানেজমেন্ট কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ নুর জানান, তুরস্কের ফাস্টলেডি রোহিঙ্গা বস্তিতে এলে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এমিনি এরদোগানের কাছে নিজেদের দূর্দশার কথা বলতে গিয়ে রোহিঙ্গারা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। অনেকে তার সামনে কান্নায় ভেংগে পড়েন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে এমিন এরদোগান বিশেষ একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সড়ক পথে প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান নিনি।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেগলুত কাভাসোগলু, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম তার সঙ্গে ছিলেন। দুপুর ১.৪৫ মিনিটে তুরস্কের ফাস্ট লেডি এমিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে পৌছাঁন।
এসময় ক্যাম্পের দেশী-বিদেশী কর্মকতারা স্বাগত জানান এমিন এরদোগানকে। তিনি কুতুপালং রেজিষ্টার্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পাশাপাশি কুতুপালং রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শন করেন।
পরে দুপুর ২ টা ২৫ মিনিটে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে কুতুপালং ক্যাম্প ত্যাগ। এ সময় ক্যাম্প এলাকা সহ আশেপাশে বিপুল পরিমাণ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয় !