ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তির ১০ম বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাণী দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “বিএনপি চেয়ারপার্সন, মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১১ সেপ্টেম্বর কারামুক্তির ১০ম বার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।
আমি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
স্বাধীনতার ঘোষক, জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও উন্নয়নের রাজনীতির রুপকার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নির্মমভাবে নিহত করার পর ষড়যন্ত্রকারীরা জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো। কিন্তু জনগণের কেড়ে নেয়া অধিকার পূনরুদ্ধার করার লক্ষে শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের রাজনীতির পতাকাকে উড্ডীন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই থেকে তিনি এই দেশে সকল অগণতান্ত্রিক দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে অবিরাম লড়াই অব্যাহত রেখেছেন এবং জনগণ তাঁকে আপোষহীন নেত্রীর অভিধায় অভিষিক্ত করেছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষার প্রশ্নে বেগম খালেদা জিয়ার অবিচল সংগ্রাম চক্রান্তকারী কোন শক্তিই তাঁকে পরাভূত করতে পারেনি। দীর্ঘ ৯ বছরের সামরিক শাসন বিরোধী নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলনে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে তিনি দেশে সাংবিধানিক গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা পূনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য নিরলস পরিশ্রম করে তাঁর শাসনামলে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত করেন।
দেশী বিদেশী চক্রান্তকারীরা তাঁর কাছ থেকে স্বার্থ আদায় করতে না পেরে আবারো নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।
১১ জানুয়ারী ২০০৭ সনে সংবিধান বর্হিভূত পন্থায় ক্ষমতা দখলকারীরা জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আবারো নতুন খেলায় মেতে উঠেছিল। এরই অংশ হিসেবে ঐ বছরে তৎকালীন তত্তাবধায়ক সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে গ্রেফতার করে।
মাইনাস টু তত্ত্বসহ নানাবিধ অপকৌশল অবলম্বন করে ও অপপ্রচার চালিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর স্বদেশ ও জনগণের কাছ থেকে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালানো হয়।
কিন্তু জনগণের অকুন্ঠ সমর্থন ও আস্থা এবং দেশ ও জনগণের প্রতি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ় অঙ্গীকারের ফলে ষড়যন্ত্রকারীদের কুটকৌশল ব্যর্থ হয়ে যায় এবং এক বছর পরে তাঁকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
জনগণের নেত্রী জনগণের মাঝে ফিরে এসে বিদ্যমান দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।
আওয়ামী শাসনে দেশব্যাপী চলছে নারকীয় তান্ডব। গুপ্ত হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যার রক্তশ্রোতে দেশে বইছে রক্তগঙ্গা। অতিমাত্রায় বেআইনী গুম ও অপহরণ জনগণকে ভীত ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
সরকারের কূটনৈতিক দূর্বলতার কারনে বাংলাদেশ এখন সমাধানহীন সীমান্ত সহিংসতার ছোবলে রক্তাক্ত।
দেশে পূর্ব-দক্ষিণ সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরতা বিশ্ব বিবেককে স্পর্শ করেছে, প্রতিদিন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম হচ্ছে। বেগম জিয়া সবসময় অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্ছার থেকেছেন, তাঁর নেতৃত্বে গণতন্ত্র উদ্ধারের সংগ্রামে সামিল হতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ। আমি তাঁর সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করছি।