ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ রোহিঙ্গা সমস্যায় ঘৃণা কোন সমাধান হতে পারেনা। এই সমস্যা মোকাবিলায় হৃদয়ে ভালোবাসা ধারণ করতে হবে। আর এটা করতে হবে মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সুচিকেই।
আজ বিবিসি’কে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে এমন ভাবনাই ব্যক্ত করলেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস।
বিবিসিতে প্রকাশিত ভিডিও বক্তব্যটিতে ড. মুহম্মদ ইউনূস বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকটে মূলে আছে দেশটির সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গাদের উপর নির্মম নির্যাতন করে বহি:র্বিশ্বের সমালোচনাকে মোকাবিলা করার জন্য সুচিকে সামনে রেখেছে এবং সুচি আসলে তা-ই বলছেন, যা সেনাবাহিনী তাকে দিয়ে বলাচ্ছে।’
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘সুচির উচিৎ এই ঘেরাটোপ থেকে বেড়িয়ে আসা এবং এখন যে ভূমিকায় তিনি অবতীর্ণ হয়েছেন সে ভূমিকা পরিত্যাগ করে নিজের চিন্তা অনুযায়ী কাজ করা। বর্তমান সমস্যাই এটাই আমার অনুভূতি।’
ইউনূস জানান, শান্তিপ্রিয় সুচিকেই বিশ্ববাসী দেখতে চায়। কোন ঘৃণাত্মক কর্ম তার কাছে কাম্য নয়। তবে, এই সময়টা সুচির জন্য খুব সংকটপূর্ন। কারণ এখনই তাকে ভাবতে হবে যে, তিনি কি শান্তি পথে এগোবেন, নাকি ঘৃণাত্মক কর্ম চলতেই থাকবে।
রোহিঙ্গা সমস্যার শুরু থেকেই এর সমাধান নিয়ে স্বোচ্চার বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদ। তিনি সব সময় সুচিকেই ভরসা মানছেন এ সমস্যা সমাধানে। শুধু তিনি নন, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী আরও অন্তত ১২ জন রোহিঙ্গাদের উপর চলমান নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ থামাতে উদ্যোগী হয়েছেন।
জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৫ আগস্টের পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বস্ব ফেলে শুধুমাত্র প্রাণ নিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে অন্তত ৩ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা। সামনের সময়গুলোতে রোহিঙ্গা সমস্যাই হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ন সমস্যা।