DMCA.com Protection Status
title="৭

শেখ হাসিনাকে হত্যা প্রচেষ্টার খবর ভিত্তিহীনঃ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

 

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর ‘হামলার ব্যর্থ চেষ্টার’ যে খবর কিছু বিদেশি সংবাদ মাধ্যমে এসেছে, তা ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

বিদেশি সংবাদ মাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বাংলাদেশের সংবাদপত্রে খবরটি প্রকাশের পর রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর গত ২৪ অাগস্ট তারিখে হামলার খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

শেখ হাসিনা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। তার প্রেসচিবের পক্ষে উপ- প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন এ এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চার সপ্তাহ আগে ২৪ অাগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বাইরে ধারাবাহিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল জেএমবি জঙ্গিরা। বাংলাদেশ ও ভারতের জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকর্তারা তা ভেস্তে দেন।

গত ২৪ অাগস্ট শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সিলেটে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত কর্মকর্তাদের স্বজনদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক তুলে দেন। কার্যালয়ে বিদুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানেও ছিলেন তিনি। একই দিন তিনি গুলশানে রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমানের বাড়িতে গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদে যোগ দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার ব্যর্থ চেষ্টার খবর ভারতের গণমাধ্যমে আসার পর আলোচনার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভাষ্য এলো।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৩ সেপ্টেম্বর একটি বিদেশি টিভি চ্যানেল ও একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন পত্রিকায় সূত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম প্রধানমন্ত্রীর উপর প্রাণনাশী হামলার ব্যর্থ চেষ্টার খবর প্রকাশ করে।

প্রধানমন্ত্রীর উপর ২৪ অাগস্ট'১৭  তারিখে ব্যর্থ হামলার সাথে একটি বিশেষ বাহিনীর কতিপয় সদস্যকে সংশ্লিষ্ট করে বাংলাদেশের কয়েকটি টিভি চ্যানেলে খবর প্রচারসহ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর উপর গত ২৪ অগাস্ট তারিখে হামলার খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এই ধরনের সংবাদকে দেশের নিরাপত্তার ‘সার্বিক স্বার্থপরিপন্থি’ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এরূপ বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা যে কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও সচেতন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে মোটেও কাম্য নয়। এই ধরনের ‘বিভ্রান্তিকর’ সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!