ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে হঠাৎ চালের ব্যপক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে চালের স্বল্পতা যতটা দায়ি , হাসিনা সরকারের সিদ্ধান্ত্হীনতা তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ি বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক। দেশে পর পর দুটি বড় বন্যায় ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর সরকার যে বিকল্প ব্যবস্থা নিয়েছে তা ছিল খুবই দেরিতে। ফলে বাজারে দ্রুত চালের দাম বেড়ে গেছে।
বুধবার দুপুরে আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ডেভেলাপমেন্ট আপডেট’ প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনোমিষ্ট ড. জাহিদ হোসেন এ কথা বলেন। এ সময় বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান প্রমুখ উপস্থিত ।
জাহিদ হোসেন বলেন,পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তা বাস্তবায়নে অনেক সময় লেগে যায়।
আমদানি করার সময় তা ‘জি টু জি‘ হবে নাকি বেসরকারি পর্যায়ে হসে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নিয়ে ফেলে। আবার শুল্ক কমানো হলে সে অর্ডার বন্দরে পৌঁছতে সময় লেগেছে।
ফলে আমদানি করে চালের ট্রাক সীমান্তের ওপারে রেখে ব্যবসাযীরা বাড়তি খরচ গুনেছে। এদিকে সরকারের কাছে চালের মজুদ যথেষ্ট না থাকার কারণে চালের মূল্যবৃদ্ধি সামাল দিতে পারেনি।
এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে এবং এ প্রভাব পড়েছে চালের দামে।
চালের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে গুজব বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংকের এই প্রধান অর্থনীতিবিদ।
তিনি বলেন, সর্বশেষ গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয় ভারত বাংলাদেশের কাছে চাল বিক্রি করবে না।
এত আরেক দফা বাড়ে চালের দাম। প্রকৃতপক্ষে খবরটি ছিল গুজব। হাওরে বন্যা হওয়ার পর ৪ লাখ মেট্রিক টন ঘাড়তি বলা হলেও প্রকৃত চালের ঘাড়তির পরিমান ২০ লাখ টন বলে তিনি উল্লেখ করেন।