ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘হেফাজতে ও ক্রসফায়ারে’ ১২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকে ৫০ জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তাদের মধ্যে সাতজন ফিরে আসেন স্বজনদের কাছে। দুই জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তিন জনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার দেখিয়েছে।
একই সময় গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছে ৪০ জন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সংখ্যাগত প্রতিবেদনে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এসব তথ্য জানিয়েছে।
আসকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নয় মাসে র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে ২০ জন, পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে ৬৪ জন, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ক্রসফায়ারে ১২ জন, র্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ারে ১ জন, পুলিশের নির্যাতনে ৬ জন, র্যাবের নির্যাতনে ১ জন, পুলিশের গুলিতে ১৩ জন, র্যাবের গুলিতে ১ জন, র্যাব ও পুলিশের গুলিতে ১জন মারা গেছেন। বান্দরবানের লামায় সেনাবাহিনীর গুলিতে ১ জন, র্যাব হেফাজতে হার্ট অ্যাটাকে ১ জন, পুলিশ হেফাজতে অসুস্থ হয়ে ২ জন, পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যা করেছেন ১ জন, পুলিশ হেফাজতে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের।
সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে আটক হওয়ার পর একজন অসুস্থ হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।