দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ অবশেষে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিলাস চন্দ্র পালকে গ্রেফতার করা হয়েছে । ধর্মীয় সম্প্রিতী বিনস্টের অপচেষ্টায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। সম্প্রতি পুজার সময় তার একটি লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে তাকে তরুণীদের সঙ্গে নাচানাচি ও উল্লাস করতে দেখা গেছে।
একপর্যায়ে তিনি হুংকার ছাড়েন, মসজিদ উঠায়ে দাও, মসজিদ কিসের। সব থাকবে মন্দির।
এই ভিডিও দেখে দেশে বিদেশে ব্যপক সমালোচনার ঝড় উঠলে বিলাস পালকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হলো পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তিনি কিভাবে এসব মৌলবাদী চিন্তা-চেতনা ধারণ করেন?
উল্লেখ্য, বিলাস চন্দ্র পাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগের মাস্টাসের্র ছাত্র। বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায়। এর আগেও বিভিন্ন সময় তিনি ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলে সাধারন শিক্ষার্থীদের কাছে জানা যায়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিলাস চন্দ্র পালকে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দাবি উঠেছে শুধু ছাত্রলীগ থেকে নয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিলাসকে বহিষ্কার করতে হবে।