ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ জিয়ার আমল থেকেই বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সন্ধ্যায় তিনি গণভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে কাজ করেছি। মানুষ যেন নিরাপদে ভোট দিতে পারে আমরা সেটা নিশ্চিত করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনায় আওয়ামী লীগ যাবে। আমরা চাই ভোটের অধিকার সুরক্ষিত হোক। নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে হয় সে লক্ষ্যেই আমরা পথ বের করবো। যতক্ষণ শ্বাস আছে দেশের জন্য কাজ করে যাবো, গণতন্ত্রের কথা বলে যাবো ।
শেখ হাসিনা বিএনপির শাসনামলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা দেখলাম চিফ জাস্টিসের বয়স ৬৫ থেকে ৬৭ বাড়িয়ে দেওয়া হলো। যিনি কেবলমাত্র অবসরপ্রাপ্ত হয়েছেন, তিনি উপদেষ্টা হবেন তাই আন্তর্জাতিক সম্পাদক কে এম হাসানকে উপদেষ্টা বানালো এবং চক্রান্ত করলো যাতে তিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়ে ভোট চুরির সুযোগ করে দেয়। আমরা মহাজোট করি। ভুয়া ভোটার আইডি তৈরি করলো, আমরা আন্দোলন করি। এসব কারণে আবার ইমারজেন্সি ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্রুত ইলেকশন হবে ভেবেছিল, কিন্তু তখন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করা হয়।’
আমাকে তখন দেশে ফিরতে বাধা দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আমি পরোয়া করি না। আমি তো জানি মারবে। যতক্ষণ শ্বাস আছে দেশের জন্য কাজ করে যাব, গণতন্ত্রের কথা বলে যাবো।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে যত নিয়োগ দিয়েছিলাম একইদিনে পত্রপাঠ বিদায় করা হয়। প্রশাসনে একই অবস্থা। কোনও নিয়ন্ত্রণ বা ডিসিপ্লিন কিছু ছিল না। জাতীয় সংসদে ভোট কারচুপির মধ্য দিয়ে নিজের মনমতো লোক বসিয়ে দেওয়া হয়। স্বাধীনতার বিরোধিতাকারীদের মন্ত্রী করে সংসদে বসানো হয়। কর্নেল রশিদ হুদাকেও বসানো হয়। আমাদের লাখো শহীদের অর্জনের পতাকা তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে।’
জনগণ সরকারের সেবা পাবে সেটাই করে যাচ্ছি উল্লেখ করে হাসিনা বলেন, ‘জনগণ ভোটের অধিকার যাতে প্রয়াগ করতে পারে সেই চেষ্টা করি। ২০০১ এর নির্বাচনের কথ যদি স্মরণ করেন। ভোটের দিন আমি যেখানে ইলেকশন করেছিলাম সেখনে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গাড়িতে করে নিয়ে নিয়ে দেখানো হয়েছিল পরিণতি কেমন হবে।’