ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কাতালোনিয়া ইস্যুতে স্পেনের গৃহীত পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের অবৈধ হাসিনা সরকার। বৃহস্পতিবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই অবস্থান ব্যক্ত করেছে। এর ফলে বাংলাদেশ কার্যত কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
সম্প্রতি স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল কাতালোনিয়ার পার্লামেন্ট তাদের অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে।কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার এই ঘোষণাকে স্পেনের সাংবিধানিক আদালত অবৈধ বলার পর সেখানে কেন্দ্রের শাসন জারি করে মাদ্রিদ।
স্বাধীনতাপন্থী নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্পেনের দূতাবাসগুলো কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার বিপক্ষে স্পেনের অখণ্ডতার পক্ষে সমর্থন আদায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করে।
ঢাকায় নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত আলবারো দে সালাম পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মাদ্রিদের পক্ষে সমর্থন চান।
তারপর এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার একটি বিবৃতি দিয়ে স্পেনের অখণ্ডতার পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করুক- সেটাই তারা চান।
এটা করা হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী সদস্য স্পেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো ভূমিকা নিতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে বলে রাষ্ট্রদূত আলবারো দে সালাস জানান।
তারপর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে স্পেনের অখণ্ডতার পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করল।
বাংলাদেশের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক পরস্পরের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার এবং একে অন্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ওপর ভিত্তি করে আরও বিকশিত হচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতির আলোকে বাংলাদেশ কাতালোনিয়ার ঘটনা প্রবাহকে স্পেনের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মনে করে।
স্পেনের সরকার জাতীয় ঐক্য ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা সুরক্ষায় স্প্যানিশ সরকারের গৃহীত সাংবিধানিক পদক্ষেপের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন রয়েছে।
সব নাগরিকের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষার মধ্যেই সামাজিক নিয়ম ফিরে আসবে বলে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে।