ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি অভিনব ভাবে ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার সৌদি আরব সফররত অবস্থায় সেখান থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
পদত্যাগের ভাষণে ইরানকে তিনি কড়া হুশিয়ারি দেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আল-আরাবিয়্যা চ্যানেল এ সংবাদ জানিয়েছে।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে সাদ হারিরি বলেন, আমরা এমন অবস্থায় বাস করছি যেখানে এর আগেও গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আমি আশঙ্কা করছি আমাকেও হত্যার টার্গেট করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি আমার পিতা রফিক হারিরি হত্যাকান্ডের পরিস্তিতির মত হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস লেবাননের জনগণ আরো শক্তিশালী হবে এবং পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে।
হারিরি ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেন, ইরানের হাত কেটে দেয়া হবে। ইরান আরব বিশ্বকে ধ্বংস করতে চায়। লেবানন ছিনিয়ে নিতে চায়। হিযবুল্লাহ সমর শক্তি দিয়ে লেবাননের জনগণকে যিম্মি করে রেখেছে।
হারিরি আরো বলেন, ইরান যেখানেই গেছে সেখানেই ধ্বংসযোজ্ঞ আর গোলযোগ সৃষ্টি করেছে। সিরিয়া ইরাক এবং ইয়েমেনে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে দিয়েছে।
লেবানন এবং সিরিয়ায় হিযবুল্লাহর অস্ত্র প্রয়োগ প্রত্যাখান করে হারিরি বলেন, হিযবুল্লাহর কারণে আরব বিশ্বের সাথে আমাদের সর্ম্পক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। হিযবুল্লাহ লেবাননে অস্ত্রের জোরে প্রভাব খাটিয়ে চলছে।
পদত্যাগ বিষয়ে সাদ হারিরি লেবাননের বাইরে থেকে প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছেন বলে লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউনের দফতর নিশ্চিত করেছে। এখন পদত্যাগের কারণ জানতে প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন তার লেবাননের ফিরে আসার অপেক্ষা করছেন বলেও জানায় ওই দফতর।
এছাড়া, লেবাননের প্রোগ্রেসিভ সোসালিস্ট পার্টি’র নেতা ওয়ালিদ জুমব্লাত বলেছেন, সাদ হারিরির পদত্যাগ লেবাননের রাজনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
২০০৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার পর ২০১৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন। আল-হারিরির বাবা রফিক আল-হারিরি ছিলেন লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। ২০০৫ সালে তাকেও হত্যা করেছিল আততায়ীরা। তখন থেকেই সাদ হারিরি ফিউচার মুভমেন্ট পার্টির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে লেবানন ত্যাগ করেন হারিরি।