ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শেষ পর্যন্ত অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরাগভাজন হয়ে আর স্বপদে থাকতে পারলেন না প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা।আজ নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠাতে বাধ্য হলেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে কানাডা যাওয়ার আগে এস কে সিনহা পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন বলে তাঁর পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শেষে আদালত খোলার আগের দিন গত দোসরা অক্টোবর ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি। পরে ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন ছুটিতে থাকা এস কে সিনহা। তারপর থেকেই দেশে ফিরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে এস কে সিনহার দায়িত্বভার গ্রহণ নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা সংশয়।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় ও বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ নিয়ে সরকারের ব্যপক সমালোচনার মুখে থাকা এস কে সিনহার ছুটির শেষ দিন ছিল শুক্রবার। আর এদিনই বিদেশ থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান তিনি।
গত ২ অক্টোবর এক মাস ছুটির কথা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি পাঠান প্রধান বিচারপতি, যার মেয়াদ ছিল ১ নভেম্বর পর্যন্ত। ছুটিতে থাকা অবস্থায় প্রধান বিচারপতির ১৩ অক্টোবর বা কাছাকাছি সময়ে বিদেশে যাওয়ার এবং ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিদেশে থাকার ইচ্ছা পোষণের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। গত ১০ অক্টোবর বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে পাঠানো ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় ১২ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ হিসাবে আজ শুক্রবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ছুটির মেয়াদ শেষ হয়।