মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তথা বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয় বলে জানিয়েছেন কানাডার জননিরাপত্তা ও জরুরি প্রস্তুতি বিষয়কমন্ত্রী রাল্ফ গোদেল। গত ১৫ নভেম্বর মন্ত্রী স্বয়ং তা সবিস্তারে এক লিখিতপত্রে নিশ্চিত করেছেন।
এতে তিনি লিখেছেন, ‘দ্য বিএনপি ইজ নট অ্যান্ড হ্যাজ নেভার বিন লিস্টেড অ্যাজ এ টেরোরিস্ট অ্যানটিটি আন্ডার দ্য ক্রিমিনাল কোড রিজাইম’। গত জুলাই মাসে বিষয়টি নিয়ে কানাডা প্রবাসী অধুনালুপ্ত দৈনিক ডেসটিনি ও দেশবাংলার সম্পাদক রেজাউল তালুকদার অপরাপর রাজনৈতিক ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দকে নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থাৎ রাজধানী অটোয়ায় গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক রবার্ট ম্যাকডুগালের সঙ্গে দেখা করেন, যিনি ২০০৮-২০১১ সালে বাংলাদেশে কানাডার রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
ওই সময় তিনি জানান, ‘বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয় এবং কানাডা সরকার কর্তৃক এই জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণার কোনো প্রশ্নই ওঠে না’। তথাপি উত্থাপিত বিষয়টির ক্ষেত্রে গত ২৮ সেপ্টেম্বর একটি লিখিত সুরাহা চেয়ে জননিরাপত্তা মন্ত্রী রাল্ফ গোদেলকে লিখলে প্রত্যুত্তরটি রেজাউল তালুকদার বরাবরে পাঠানো হয়।
তাতে মন্ত্রী রাল্ফ গোদেল আরও লিখেন, প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই কানাডা সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। তাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি মূল্যবোধ, অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষাকবজটি জনগণ প্রত্যাশা করে। এতে সন্ত্রাসে অর্থায়ন, সন্ত্রাস পরিচালনা ও সন্ত্রাসী তৎপরতায় সমর্থন প্রদান প্রতিরোধে ক্রিমিনাল কোডের অধীনে তালিকাভুক্তি একটি পদক্ষেপ।
সেক্ষেত্রে বিএনপি বর্তমানে কিংবা অতীতে কখনোই অপরাধ আইনাধীন সন্ত্রাসী দল হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়নি। তারপরও অপরাধ আইনাধীনে তালিকাই কোনো গ্রুপ বা ব্যক্তির সন্ত্রাস সংশ্লিষ্টতা নিরূপণে শেষ কথা নয়।(However, I would note that the Criminal Code list is not exhaustive in identifying groups or individuals associated with terrorism.)
ইতোপূর্বে এই প্রতিবেদক এ বছরের মার্চে বিএনপি যে সন্ত্রাসী দল নয়, তা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বিচারমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল জোডি উইলসন-রেবল্ড, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, জননিরাপত্তা মন্ত্রী রাল্ফ গোদেল, নাগরিকত্ব ও অভিবাসনমন্ত্রী আহমেদ হোসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া-পিয়ের লারামিসহ তাদের মিডিয়া কর্মকর্তা ও ফেডারেল কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও মিডিয়া বিষয়ক লিগ্যাল কাউন্সিল যথাক্রমে লিজ লাফ্রিনিয়ার হেনরি ও এন্ড্রু বৌমবার্গকে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন।