ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ এদেশে নারী শিক্ষার পথপ্রদর্শনকারী মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক বাণীতে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এদেশের রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত।
তিনি তার নিজ জীবনের বাস্তবতার মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পশ্চাদপদ অবস্থান। উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন।
তাঁর জীবন-সংগ্রামের লক্ষ্যই ছিল নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তি। আর নারীমুক্তির বাণী বহন করতে গিয়ে তাকে সমাজের গোঁড়া রক্ষণশীলদের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অবিচল।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বেগম রোকেয়া তার ক্ষুরধার লেখনির মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের মূলে আঘাত হেনে ছিলেন। সংসার, সমাজ ও অর্থনীতি জীবনের এই তিনটি ক্ষেত্রে নারীকে স্বায়ত্ত্বশাসিত ও আত্মমর্যাদাশীল হতে তিনি গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আর এজন্য তিনি বিশ্বাস করতেন নারীকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। নারী সমাজকে স্বাবলম্বী করতে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলে ছিলেন, শত কুপমন্ডুকতার বাধা সত্বেও। বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ নারী সমাজকে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে মন্তব্য করেন বেগম জিয়া।
ভিন্ন এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম রোকেয়ার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বেগম রোকেয়া এ দেশের নারী জাগরণের এক কিংবদন্তিতুল্য পথিকৃত। তিনি নারী সমাজে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে যে ভূমিকা পালন করেছেন তা বৈপ্লবিক। তিনি দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গিতে উপলব্ধি করেছিলেন যে, নারীর ভাগ্যোন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাবলম্বিতা গুরুত্বপূর্ণ। বেগম রোকেয়ার জীবন ও তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নেই এদেশের নারী সমাজকে আলোকিত ও আত্মনির্ভরশীল করতে প্রেরণা যোগাবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত হওয়ার জন্য সব নারীর প্রতি আহবান জানান বিএনপি মহাসচিব।