ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য আসামে বিপুল সংখ্যক ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ রয়েছে বলে ক্ষমতাসীন বিজেপির পক্ষ থেকে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনার কাজি মুনতাসির মুর্শেদ বলেছেন, ‘আসামে যে অবৈধ বাংলাদেশি আছে সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে কিছুই জানায়নি ভারত সরকার।’
উত্তর-পূর্ব ভারতের ৬ রাজ্যের দ্বায়িত্বে নিয়োজিত বাংলাদেশের এই কূটনৈতিক বলেন, ‘৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে আসামে নাগরিক তালিকা এনআরসি’র প্রথম খসড়া প্রকাশিত হয়েছে। যে পক্ষ থেকেই হোক এনআরসি প্রক্রিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে পড়ায় আমরা এটি সক্রিয়ভাবে ফলো করছি।’
তিনি বলেন, ‘এনআরসি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ যে আসামে আছে সে বিষয়ে এখন পর্যন্তও (৩ জানুয়ারি/১৮) বাংলাদেশ সরকারকে অফিসিয়ালি অবহিত করেনি ভারত সরকার।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক তালিকার খসড়া প্রকাশ করেন। যাতে ১ কোটি ৯০ লাখ লোকের নাম উঠেছে। আসাম রাজ্যে তিন কোটি ২৯ লাখ নাগরিকের তথ্য পাওয়া যায়। তবে নাগরিকদের এ তালিকায় ১ কোটি ৩৯ লাখ বাসিন্দা এখনও অন্তর্ভুক্ত হননি।
আসামে প্রচুর অবৈধ বাংলাদেশিরা বাস করছেন, এমন অভিযোগ করে আসছে শাসক দল বিজেপি। আর তাদের চাপের মুখেই প্রকৃত নাগরিকদের তালিকা করা হচ্ছে। এ তালিকা নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া খবর প্রকাশিত হয়েছে আসামে ৩০ লাখ ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ বসবাস করছে।
এই বাংলাদেশী নাগরিকদের অবিলম্বে বাংলাদেশে ফেরৎ পাঠানো উচিৎ বলে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি মনে করে।তবে এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কোনো ভাষ্য এখনও জানা যায়নি।