ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ 'ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির দিন ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষই মিলনায়তনে তালা মেরে রেখেছিল, পরে আমার নির্দেশে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে তালা খুলে দেয় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ' বলেছেন বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত এক আলোচনায় বিষয়টি উঠে আসে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রী।
মন্ত্রীরা জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মিলনায়তনের ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষই দরজা বদ্ধ রেখেছিল। পরে ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপে মিলনায়তনের দরজা খুলে দেওয়া হয়।’
মঙ্গলবার (০২ জানুয়ারি) রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবির্ষীর কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ছাত্রদল কর্মসূচি পালনের জন্য গেলে নেতারা দেখেন যে, মিলনায়তনে তালা মারা। ঐসময় কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মীরা উপরের নির্দেশ ছাড়া তালা খোলা যাবেনা বলে জানায় জানায়। ছাত্রদলের নেতারা ঐদিনের হল বুিং এর ভাড়া পরিশোধের রশীদ সহ পুলিশের অনুমতি পত্র দেখালেও কোন কাজ হয়নি এবং কোন সদুত্তর তাদের দেয়া হয়নি।প্রায় আধা ঘন্টা বাক-বিতন্ডার পর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজে গাড়ী থেকে নেমে এসে তালা খুলে দিতে বলেন,তার কথায় গেটের বন্ধ তালা খুলে দেয়া হয়। এই বিষয়টি নিয়ে দেশব্যাপী ব্যপক সমালচনায় পড়ে অবৈধ হাসিনা সরকার।
পরদিন বুধবার (০৩ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক অংশ নেওয়া একাধিক মন্ত্রী জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তালা বন্ধের ঘটনাটি জানার পর পরই আমি আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে জানাই এবং জানতে চাই কেন তালা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সরকারের সমালোচনা হবে। বিষয়টি তাকে দেখতে বলি। ওবায়দুল কাদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সভাপতির সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান, কেন মিলনায়তনের দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে, এতে সরকারের সমালোচনা হচ্ছে। এসব বিষয়গুলো ওবায়দুল কাদের তাদের জানায়। ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ তখন ওবায়দুল কাদেরকে জানায়,বিএনপি ভাড়ার টাকা পরিশোধ করেনি বলেই দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে। ওবায়দুল কাদের তখন তাদের বলেছে ভাড়ার টাকা পরিশোধ হয়েছে, কি হয়নি; সেটা পরে দেখা যাবে। যেহেতু তাদের ভাড়া দেওয়া হয়েছে, সেহেতু তাড়াতাড়ি মিলনায়তনের দরজা খুলে দিন। এটা নিয়ে সরকারের সমালোচনা হবে। এরপরই মিলনায়তনের দরজা খুলে দেয় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ।’
এই বিয়ষটি যে সর্বৈব মিথ্যা তার প্রমান সময়।মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যে এই তু্ছ ঘটনা দেশের প্রধান মন্ত্রী জানলেন,তিনি ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করলেন,ওবায়দুল কাদের আইইবি সভাপতিকে ফোন করলেন,তার হুকুমে আইইবি সভাপতি মহোদয় ঐস্থানে কর্তব্যরত তার কর্মচারীকে তালা খুলে দিতে বললেন।
এসব সব কিছু কি সম্ভব এতো অল্প সময়ের মধ্যে ????????