ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক স্বৈরাচার হো মো এরশাদের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম আর টক শোতে যে আলোচনা হচ্ছে, আসলে আমি এভাবে বলিনি। আমি এমন কিছু আপত্তিকর কথা বলিনি যার জন্য আদালত অবমাননা হবে।
তবে আমি বলেছি, ‘৯০ সালে আমাদের দলের চেয়ারম্যানকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে কারাগারের মেঝেতে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। একই পরিণতি তাকেও (খালেদা জিয়া) ভোগ করতে হবে। এরশাদকে যেভাবে কারাগারের ফ্লোরে একটি কম্বল একটি বালিশ আর লোটা নিয়ে থাকতে দেওয়া হয়েছিল, খালেদা জিয়াকেও কারাগারের মেঝেতে সেভাবে থাকতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দলের চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে একই বিমানে রংপুরে এসে সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
রাঙ্গা বলেন, ‘আমি চকোরিয়ার জনসভায় বলেছিলাম, পাঁচটি আসনে জয়ী হওয়ার পরও এরশাদকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছিল। তার ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল। পাঁচটি আসনে জয়ী হওয়ার পরও সংসদে বসতে দেওয়া হয়নি। সে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আমি বলেছিলাম, যে এরশাদকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখেছিল তাকেও আজ থেকে ১৫/২০ দিনের মধ্যে জেলে যেতে হবে।
আমি মূলত আমাদের দলের চেয়ারম্যান এরশাদকে যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল সেসব কথা বলতে গিয়ে একথা বলেছি। আর খালেদা জিয়াকে কারাগারে যেতে হবে একথা আমি কেন, অনেকেই তো বলছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে টুইট করে অনেকেই বলছে। মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবীরাই তো বলছেন, মামলার সাক্ষী আর সওয়াল-জবাব শেষ, এখন রায় হবে। সাংবাদিকরাও এসব কথা লিখছেন, রায় হবে। এসব সূত্র ধরেই আমিও বলেছি।’
রাঙ্গা আরও অভিযোগ করেন, ‘আমি এর আগে ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলাম তখন জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনও দলের জোট ছিল না। ওই সময় রাজধানীর শনির আখড়া থেকে আমার একমাত্র সন্তানকে হাইজ্যাক করা হয়েছিল। একদিন তার কোনও সন্ধান আমি পাইনি। বিএনপি ওই সময় ক্ষমতায় ছিল, তারা আমার ও দলের চেয়ারম্যানসহ নেতা কর্মীদের ওপর কী অত্যাচার করেছে তা কি আমরা ভুলতে পারি। আমার গঙ্গাচড়ার বাসাটি তিন মাস ধরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দখল করেছিল। এসব কিছুর দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে আছে। এসব কথা আগে আমি কখনও বলিনি। আমার বক্তব্য নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই।’