দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ তাৎপর্যপূর্ণ তবে আচমকা এক সফরে ঢাকায় এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের উপ-সহকারী মন্ত্রী ডেনিয়েল এন রোজেনব্লাম।
গত রাতে তিনি বাংলাদেশে পৌঁছেছেন। আজ এবং আগামীকাল সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় হবে তার। স্টেট ডিপার্টমেন্টের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া দেখভালের দায়িত্ব প্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা ফান্ড, পলিসি ও নিরাপত্তা বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চলতি জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনে উপ-সহকারী মন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়া ওই কর্মকর্তা দক্ষিণ এশিয়া পরিস্থিতি সরজমিন দেখতে এসেছেন। তিনি বাংলাদেশ সফরের পরে শ্রীলংকা যাবেন।
রোহিঙ্গা সংকটে জর্জরিত বাংলাদেশ প্রায় সাড়ে সাত লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দাকে ফেরত পাঠাতে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে উপনীত হয়েছে। কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ওই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে নিয়ে দেশটির চাপ বাড়ানোর অবস্থানে ছিল ঢাকা।
কিন্তু চীনের মধ্যস্থতায় সেই চাপের পাশাপাশি মিয়ানমারের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। যদিও রাখাইন পরিস্থিতির দৃশ্যমান পরিবর্তন বিশেষ করে সেখানে ফেরত পাঠানো রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, অধিকার ও শান্তিপূর্ণ বসবাসের গ্যারান্টি এখনো দেয়নি মিয়ানমার। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব সমপ্রদায়ের গভীর উদ্বেগ ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। তবে বাংলদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা গনতন্ত্রের চর্চা ,অংশগ্রহন মুলক আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন কিনা তা জানা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কর্মকর্তা ডেনিয়েল এন রোজেনব্লামের সফরকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন সেগুনবাগিচার কূটনীতিকরা।
উল্লেখ্য, শুভেচ্ছা বা পরিচিতি সফরে এই প্রথম বাংলাদেশে আসা ওই কর্মকর্তা ঢাকার এক সেমিনারে ‘দ্য ইউনাইটেড স্টেটস অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক রিজিওন’ শীর্ষক একক বক্তৃতাও করবেন। ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের সম্পর্কের বিষয়টি তার বক্তৃতার ফোকাসে থাকতে পারে বলে ধারণা পাওয়া গেছে।