ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ' না জানিয়ে আপনারা গোপনে ভিডিও করবেন কেন’, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্তব্য করেছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং সাবেক জাতীয় রক্ষী বাহিনী প্রধান তোফায়েল আহমেদ।
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ‘গোপনে যদি কোনো দুর্নীতির ভিডিও ফুটেজ ধারণ করা হয় তাহলে এটা কি গুপ্তচবৃত্তি হবে কিনা’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী উক্ত মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে সভাকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ কথার পরপরই সাংবাদিকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। সাংবাদিকরা বলতে থাকেন কোনো দুর্নীতির ভিডিও কি প্রকাশ্যে বলে কয়ে ধারণ করা সম্ভব?
এই ধারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য অন্তরায় সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ আইন স্বচ্ছতার সাথেই করা হয়েছে। আইসিটি আইন করেছিল বিএনপি। সেখানে বিস্তারিত বিষয়গুলো ছিল না। কিন্তু বর্তমানে যে আইনটি করা হলো সেখানে বিস্তারিত কথাগুলো বলা আছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকতার অন্তরায় হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না এ আইন সাংবাদিকতার অন্তরায় হবে। এ আইন করেও আপনাদের থামাতে পারবো বলে মনে হয় না। আপনারা যেটা করেন, ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে গোপনে ধারণ এটা কি ঠিক? এটা ঠিক নয়।’
মন্ত্রী আরো বলেন, আর আপনারা যেভাবে লেখেন সেটাও তো ঠিক নয়। একজন এমপি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। তার একটা সম্মান আছে। তার বিরোধীরা অনেক সময় কিছু তথ্য দেয় আর সেটা আপনারা পত্রপত্রিকায় যেভাবে লেখেন, দিস ইজ নট কারেক্ট।
মন্ত্রী বলেন, ধরুন আমি একজন সাধারণ মানুষ। আপনারা যদি আমার বিরুদ্ধে কিছু লেখেন তাহলে কি আমি লিখে কোনো জবাব দিতে পারবো? আপনারা দেশকে ভালোবাসেন। দেশ নিয়ে গবেষণা করেন এটা ভালো। কিন্তু প্রতিটি নিউজ ওথেনটিক হওয়া দরকার। আপনারাও চান সবকিছু স্বাভাবিক থাকুক। আমাদেরও সেই চেষ্টা। যে গ্রাম ছিল অন্ধকার, সে গ্রাম এখন আলোকিত। যে গ্রামে যাওয়ার জন্য কোনো পথ ছিল না, সেই গ্রামের রাস্তা এখন পাকা। ছিলো না বিদ্যুৎ। আমিও তো গ্রামে অন্ধকারে চলাফেরা করেছি। বর্ষাকালে কাদামাটিতে হেঁটেছি। এখন তো এটা আর নেই।
তার কাছে কোনো কিছু গোপন নেই উল্লেখ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আপনারা আমার এখানে আসেন। সবকিছু ওপেন বলে দিবো।’
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে- যদি কোনো ব্যক্তি বেআইনি প্রবেশের মাধ্যমে কোনো সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কোনো ধরনের গোপনীয় বা অতিগোপনীয় তথ্য-উপাত্ত কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ডিজিটাল নেটওয়ার্ক অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক মাধ্যমে গোপনে ধারণ, প্রেরণ বা সংরক্ষণ করেন বা করতে সহায়তা করেন, তাহলে তা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ জন্য ১৪ বছরের জেল এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।