ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা রায় ও খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজ নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা কনস্যুলেটের দখল নিতে গেলে সেখানে অবস্থানরত হাসিনাপন্থী কর্মকর্তারা পুলিশ ডেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালায়। বিক্ষোভ চলাকালীন কাউকে ভবনের ভেতর থেকে বেরোতে দেখা যায়নি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীও সমাবেশস্থলের আশপাশে উপস্থিত হয়নি।
শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। এসময় কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও প্রবাসী বাংলাদেশী কনস্যুলেটের সামনে অবস্থান নেয়। তারা কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে রাখে গোটা এলাকা। তারা অভিযোগ করেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো রায় দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ বিক্রির ষড়যন্ত্র করছে। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অবিলম্বে এ রায় বাতিল করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে শেখ হাসিনার জন্য ভয়াবহ পরিণতি অপেক্ষা করছে। অবৈধ সরকারের কাউকে ক্ষমা করা হবে না।
তারা আরও বলেন, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রায়ের মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রী যিনি কিনা দেশের জন্য পরিবারের সদস্য হারিয়েছেন, পরিবারছাড়া হয়েছেন, দেশকে ভালোবেসে দেশের জনগণেরর জন্য পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেই মাটি ও মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। দেশের জনগণ খুব শীঘ্রই এ অন্যায় রায়ের বিরুদ্ধে জেগে উঠবে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাবেক বৈদেশিক উপদেষ্টা ও বিএনপির বিশেষ দূত জাহিদ এফ সরদার সাদী।
যাদের প্রাঞ্জল উপস্থিতি, নেতৃত্ব, সহযোগিতা ও ঐকান্তিক পরিশ্রমে সফল হয় বিক্ষোভ সমাবেশ তারা হলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, সিনিয়র সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদ, কামাল সাইদ মোহন, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব বাবর উদ্দিন, আক্তার হোসেন বাদল, জসিম ভূঁইয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, নিউয়র্ক মহানগর বিএনপি সভাপতি সেলিম রেজা, জাসাসের সভাপতি আবু তাহের, যুবদল সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ আহমেদ, জাসাসের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম ফারুক শাহীন, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবদল নেতা এম এ বাতিন, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মাহফুজুল মওলা নান্নু, ড. নুরুল আমিন পলাশ, এবাদ চৌধুরী, মার্শাল মুরাদ, পারভেজ সাজ্জাদ, হেলাল উদ্দিন, আবাব হোসেন খোকন, মাহমুদুর চৌধুরী, বাসেত রহমান, জাফর তালুকদার, রুহুল আমিন নাসির,
গোলাম হোসেন, ফারুক হোসেন মজুমদার, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ নাসির উদ্দিন, রেজাউল করিম রিজু, শেখ হায়দার আলী, মোঃ আনোয়ার হোসেন, শামসুল ইসলাম মজনু, আনোয়ারুল ইসলাম, ছাইদুর রহমান ডিউক, নাছিম আহমেদ, আহমেদ জুয়েল, সৈয়দ জুবায়ের আলী, মোঃ কাউসার, সোহরাব হোসেন, আহবাব হোসেন খোকন, কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম, সাইফুর খান হারুন, রেজাউল আজাদ ভুঁইয়া, এমলাখ হোসেন ফয়সাল, ফিরোজ আহমমেদ, এস এম ফেরদৌস, আব্দুস সবুর, মোসারফ হোসেন সবুজ, নাসিম খান, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, ডঃ তারেক, ফয়েজ চৌধুরী, জীবন শফিক, নাসিম আহমদ, ছাইদুর খান ডিউক, এবিএম সিদ্দিক, আরশাদ খান, মো. হোসেন, ফজলে রাব্বী রাজীব, মো. কাউসার, তৌফিক মিয়া, মাজহারুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর সোহওয়ার্দী, ফারুক হোসেন মজুমদার, আহমমেদ সালেহ্ , সাজেদুল ইসলাম অরিক, আরিফ আহম্মেদ, আরিফুল ইসলাম তুহিন, আলমগীর মৃধা, আমিনুর রহমান, মাসুম বিল্লাহ, মো: মহসিন, মাসুম আহম্মেদ, মিফথা মামুন, রুবেল গাজী, জাফর ফরাজী, জাহিদ হায়দার বিশ্বাস, কামাল উদ্দিন দিপু, সিরাজুল ইসলাম ডালী, মাসুদ হোসেন, শাহাদাৎ হোসেন রাজু, যুবদল নেতা খলকুর রহমান, জুবায়ের শাহীন, কাওসার আহমেদ, সুয়েব আহমেদ, আমানত হোসেন আমান, আতিকুল হক আহাদ, সাইফুর খান হারুন প্রমুখ।