DMCA.com Protection Status
title="৭

শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে ভোট চাইছেন আর আমরা ঘুরছি আদালতের বারান্দায়ঃমির্জা ফখরুল।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আন্দোলন করছে। সরকার প্রধান হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট চেয়ে জনসভা করছে, আর আমাদের সভা করার অনুমতি দিচ্ছে না,আমরা ব্যস্ত আদালত হাজিরায়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নগরীর কোতোয়ালি থানার নূর আহমদ সড়কে স্মরনকালে চট্টগ্রামের বৃহত্তম এক মহাসমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার মামলার ফরম্যাট করে রেখেছে। যখন যাকে খুশি তাকে ওই ফরম্যাটে ফেলে জেল-জুলুম করছে।


বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে তিনটায় নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিএস২২১ বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের প্রতি শোক জানিয়ে সভার কাজ শুর করা হয়।


বর্তমান অবৈধ সরকারের কর্মকাণ্ডে সারাদেশের মানুষ এখন হতাশ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৭৮ হাজার মামলা হয়েছে। আজ যেখানে যাবেন সেখানে হতাশা। চরম অনিশ্চয়তায় দেশের মানুষ। ‘মা আজকে অস্থির কখন তার ছেলেকে তুলে নেয়, স্ত্রী অস্থির হয়ে থাকে কখন স্বামীকে তুলে নেয়, বোন অস্থির হয়ে থাকে কখন তার ভাইকে তুলে নিয়ে যাবে। এটা একদিন দুই দিনের নয়। গত কয়েকবছর ধরে আওয়ামী লীগ অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।’

আওয়ামী লীগ বিগত কয়েক বছরে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তারা প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করায় মানুষের আস্থা হারিয়েছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পেয়ে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে অভিযোগ করে দলের মহাসচিব বলেন, যিনি দেশকে রক্ষার জন্য সারাদেশ চষে বেড়িয়েছেন সেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবন সায়াহ্নে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। একটি নির্জন পরিত্যাক্ত কক্ষে রাখা হয়েছে।

কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাওয়ার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, আমরা যখন দেশনেত্রীর সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গিয়েছিলাম তখন মনে করেছিলাম তিনি ভেঙে পড়বেন। কিন্তু তাকে দেখে আমরা বিস্মিত হয়েছিলাম। ‘সেদিন তিনি আমাদের বলেছিলেন ভয় পাবেন না। আপনারা এগিয়ে যান। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য কাজ চালিয়ে যান।

তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের সাজানো মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু দেশের মানুষ সেটা বিশ্বাস করে না। তাকে কেবল একটি কারণে জেলে পাঠানো হয়েছে। সেটি হলো সরকার তাকে ভয় পায়। তাই তারা নির্বাচন দিতে চায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে এখন আমাদে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হলো জনগণের ঐক্য গড়ে তোলা। ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য তৈরি করতে হবে। দল, মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষকে একত্রিত করতে হবে। ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার জন্য মানুষ যেভাবে যুদ্ধ করেছিল, বুকের রক্ত দিয়েছিল ঠিক সেইভাবে আবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের জন্য, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবাই এক হয়ে মিলেমিশে একটি বিষয়ে আন্দোলন করতে হবে। 


সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লাহ বুলু, মো.শাহজাহান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, জয়নাল আবেদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এসএম ফজলুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা এ এম নাজিম উদ্দিন, আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া, নগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভাপতিত্ব করেন নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
লালদীঘি পাড়ে সমাবেশটি করার ঘোষণা দিলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় শেষপর্যন্ত দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিশাল এই সমাবেশ করেছে বিএনপি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!