ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করে টাকা আদায়কারীরা এক ধরনের সন্ত্রাসী। জঙ্গিদের মতো এই ‘প্রশ্ন-সন্ত্রাসীদের’ও আমরা অবশ্যই নিশ্চিহ্ন করব।
গতকাল সোমবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় র্যাব সদর দপ্তরে বসে গনমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে র্যাবের ডিজি আরও জানান, এবার প্রশ্নের ক্রেতা সেজে ছদ্মবেশে মাঠে নেমেছে র্যাব।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, এর আগে এসএসসি পরীক্ষার সময় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার পরও ছেড়ে দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভেবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার বলতে চাই, যদি কোনো পরীক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকের কাছে প্রশ্ন পাওয়া যায়, তা হলে তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে; প্রশ্নপত্র আসল নাকি নকল সেটিও বিবেচনা করা হবে না।
বেনজীর আহমেদ বলেন, প্রশ্নফাঁসের মতো জঘন্য অপকর্মের জন্য আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চাই, তারা ঠিকমতো পড়ালেখা শিখে সনদ অর্জন করুক। এবার যেন প্রশ্নপত্র ফাঁস না হয়, সে জন্য কিন্তু আমরা আগে থেকেই তৎপর। প্রশ্নফাঁসে কোনো না কোনোভাবে জড়িত থাকার কারণে গত ৩ দিনে ৭ দফায় ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। সে প্রশ্নফাঁসকারী একটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন দেখা যাচ্ছে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের নামে প্রতারণা চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। কারণ যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের কাছে আসল প্রশ্ন পাওয়া যায়নি। এমন ফাঁদে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পা না দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তৎপর রয়েছি। একই সঙ্গে ব্যাপক গোয়েন্দা কার্যক্রমও চলমান রয়েছে যেন এবার কেউ প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে না পারে। কোথাও এ সংক্রান্ত তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা র্যাবকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।