DMCA.com Protection Status
title="৭

বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে উন্বিগ্ন দেশবাসী,সু-চিকিৎসার দাবী বিএনপির।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ তথাকথিত জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার জন্য আজ বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়নি। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করছেন না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। 

তবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারিরিক অবস্থা এবং চিকিৎসার ব্যাপারে বিএনপি এবং দেশবাসী এখনও অন্ধকারে রয়েছে।তাঁর সুচিকিৎসার স্বার্থে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবী করে আসছে বিএনপি।

খালেদা জিয়া আজ আদালতে উপস্থিত না থাকতে পারায় মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

 

দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল জানান, খালেদা জিয়া তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে তার চিকিৎসা করাবেন বলে জানিয়েছেন। এ কারণে তিনি মেডিকেল বোর্ডের দেওয়া ওষুধ সেবন করছেন না।

 

এ জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও আদালতকে অবহিত করেছেন মোশারফ হোসেন।

 

অন্যদিকে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য আগামী ধার্য তারিখে দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানান প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল।

 

তবে এ বিষয়ে বিরোধীতা করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রেজ্জাক খান। 

 

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি আসামি জিয়াউল হক মুন্নার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি অব্যাহত রয়েছে এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন বাকি আছে। একই বিচারক জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং ওই দিনই তাঁকে কারাগারে পাঠান।

 

২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এ মামলায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

 

এই মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!