ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ অবৈধ হাসিনা সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং সাবেক জাতীয় রক্ষী বাহিনী প্রধান তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে ভোলা শিগগিরই হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর।
গতকাল ভোলার নতুনবাজার শ্রমিক লীগ চত্বরে মঙ্গলবার মে দিবসের সমাবেশে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তোফায়েল বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। ভোলার কোনো রাস্তা কাঁচা থাকবে না। ভোলাকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। আমার সবচেয়ে ভালো কাজ, ব্লক ফেলে নদীভাঙন প্রতিরোধ করেছি। ধনিয়া, কাচিয়া, ইলিশা, রাজাপুরে যদি ব্লক না ফেলতাম, ভোলা শহর পর্যন্ত আক্রান্ত হতো। ভোলায় অনেক মন্ত্রী ছিলেন, কিন্তু কেউ নদীভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টাও করেননি। এখন আমার যে কাজটি বাকি আছে, সেটি হলো ভোলা-বরিশাল সেতু। সম্ভাব্যতা যাচাই হয়ে গেছে, আশা করি, এই বছরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ব্রিজের কাজের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকেন, ভোলাই হবে সিঙ্গাপুর।
শ্রমিকদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে শ্রমিকদের যথেষ্ট অবদান আছে। তৈরি পোশাক খাতে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করে, যার মধ্যে ৮০ শতাংশ নারী। শ্রমিকেরা তাঁদের ঘামের বিনিময়ে দেশের অর্থনীতির চাকা উন্নয়নের দিকে টেনে চলেছে। আজকে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে চলেছি, সেখানেও শ্রমিক-মেহনতি মানুষের অবদান রয়েছে। তাই যে যেখানে রয়েছি, আমাদের শ্রমিকদের স্বার্থে লক্ষ রাখা প্রয়োজন।’
তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ‘দেশে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারও আসবে না, কোনো সহায়ক সরকারও আসবে না, এই সরকারের প্রধানই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দৈনন্দিন কাজ করবেন। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি সকল দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এবারের সংসদ নির্বাচন হবে। যারা অতীতে নির্বাচন করেন নাই, নিশ্চয়ই তারা ভুল উপলব্ধি করে নির্বাচনে অংশ নেবেন।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অক্টোবর মাসে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে। খুব সম্ভবত ডিসেম্বরের শেষ দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা যাঁরা নেতা-কর্মী, সমর্থক আছেন, সেই নির্বাচনের জন্য জোর প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। ভোলার ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগের দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। ভোলায় অতীতেও অনেক নির্বাচন হয়েছে। দু-একটি নির্বাচনে আমাকে জোর করে হারানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোটে আমি কোনো দিনই হারিনি। আমি বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে আপনারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন।’
ভোলা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবু তাহের মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন, ভোলা পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম প্রমুখ।