ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মা-ছেলে দুজনই এখন সাজাপ্রাপ্ত। একজনের মুক্তির জন্য আরেক জন বিদেশে বসে আন্দোলন করছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে অপরাধীকে ধরে আনা। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রিটেন সরকারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।
বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন,দেশে কোনো কোটাই থাকবে না। যখন আন্দোলন হয়েছিল তখন সবাই আন্দোলনকারীদের পক্ষে ছিলেন। কেউ তাদের থামানোর চেষ্টা করেননি। আমরা নানাভাবে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সবাই যখন কোটা বাতিলের পক্ষে, তাই তা বাতিল করে দিয়েছি। এখন আমাদের হাতে আর কিছু নেই। কেউ এসে কান্নাকাটি করলেও আমাদের কিছুই করার নেই। কেউ যদি চাকরি না পায় আমাদের কিছু করার নেই।
শেখ হাসিনা বলেছেন, একজন নিরাপরাধ মানুষ জেল খাটলেও দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে টু-শব্দ করা হচ্ছে না। একজন মহিলা বিনা বিচারে কেন জেল খাটবে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে থাকা গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম সম্পর্কে শেখ হাসিনা এ মন্তব্য করেন। আজ বুধবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ কথা বলেন।
অবৈধ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত কোন আসামিকে কবে কে কোন দেশে, মেড সারভেন্ট (গৃহপরিচারিকা) সাপ্লাই দিয়েছে। তাদের সে দাবিও মেনে নিয়ে আমাদের হোম মিনিস্টার দয়া পরবশ হয়ে তাকে তার মেড সারভেন্ট পর্যন্ত সাথে দিয়ে দিয়েছে। এখন আমি জানি না, মানবাধিকার সংস্থা তো অন্য সব বিষয়ে এত সোচ্চার, তারা কেউ কিন্তু এব্যাপারে সোচ্চার হয় নাই। একজন নিরাপরাধ মানুষ কেন খামাখা জেল খাটবে?’
তিনি বলেন, ‘একটা নিরাপরাধ মানুষকেও কিন্তু জেল খাটতে হচ্ছে খালেদা জিয়ার কারণে। যদিও এখন আমাদের কোনো মানবাধিকার সংস্থা একটা টু-শব্দও করে না। বিনা বিচারে, বিনা সাজায়, বিনা কারণে কেন একজন মহিলা জেল খাটবে, আমাকে বলেন। তাও সে খাটছে।’