ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক বেগম খালেদা জিয়ারর সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত না করে, দু:সহ জীবন যাপনে বাধ্য করে, তিলে তিলে বিপন্ন করে তোলাই সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য-সেটিই বাস্তবায়িত হচ্ছে।খালেদা জিয়া, তারেক রহমান তথা জিয়া পরিবারসহ বিএনপিকে ধ্বংস করাই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান এজেন্ডা।এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়েই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে দেশনেত্রীকে অবৈধ ক্ষমতার জোরে বন্দি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বুধবার দুপুরে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে যে রুমে রাখা হয়েছে তা বসবাসের অযোগ্য। রুমটি ভেজা, স্যাঁতসেঁতে। অসংখ্য পোকামাকড়ে আকীর্ণ কক্ষটিতে বাস করা যেন নরকবাস। পোকামাকড়ের দংশনে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, কক্ষটি নানা অসুখ-বিসুখের আক্রমণের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে তার প্রচণ্ড কাশি হয়েছে। ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা এবং বাঁ হাতটা অবিরাম ব্যথার কারণে শক্ত হয়ে উঠেছে। দুই পা ক্রমাগত ব্যথা হচ্ছে এবং সেগুলো ভারী ও ফুলে উঠছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মাত্র কিছুদিন আগে চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছে খালেদা জিয়ার। বহুপ্রাচীন দেয়ালগুলো থেকে ঝরে পড়া সিমেন্ট ও বালু এখন চোখ দুটোর অবস্থাকে খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ব্যথায় চোখ দুটো সব সময় লাল হয়ে থাকে
মাদকবিরোধী অভিযানের নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চলমান বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করেন তিনি বলেন, ‘প্রকৃত বড় বড় মাদক ডিলাররা অন্তরালে থেকে যাচ্ছে কীভাবে? প্রভাবশালী মন্ত্রীদের বাড়িতে তাঁরা দেখা-সাক্ষাৎ করছেন। চারদিকে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে সরকারি এই মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুইয়া, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম, আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।