ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বর্তমান অবৈধ হাসিনা সরকারের আমলে সরকারী কর্মকর্তাদেরদুর্নিতী যে কোন পর্যায়ে পৌছেছে তা আর বলার মতো নয়।
জানা যায় চট্টগ্রাম সিএমপি আকবর শাহ থানার প্রাক্তন ওসি মুহাম্মদ আলমগীর বিপি-৭৫৯৯০৩০৯৭২, মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থেকে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছেন রাতারাতি, তাহার বর্তমান সম্পদের পরিমান অবিশ্বাস্যভাবে মাত্র ২৩৫ কোটি টাকা।তবে তিনি ১ম শ্রেণীর কর্মকর্তা হলেও আয়কর ও ইটিআইএন ছাড়া বেতন উত্তোলন করে থাকেন এবং অদ্যাবধি কখনও আয়কর প্রদান করেন নি।
গত ১৯ মে ২০১৮ ইং (শনিবার) প্রথম আলো পত্রিকার প্রথম পাতায় শিরোনাম চট্টগ্রামে মাদকের আখড়। ওসি আলমগীর সহ আরো পাচঁ থানার ওসির নাম প্রকাশ হয়,
অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের সন্তান ওসি অালমগীর, জন্মঃ ০৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫, পিতাঃ মৃত বাদশা মিয়া, মাতাঃ ফরিদা বেগম, স্ত্রীঃ তাসলিমা আকতার, বিপিঃ ৭৫৯৯০৩০৯৭২, NID 1975 1595707067752 PASPORT NO OC5182110, স্থায়ী ঠিকনাঃ দঃ রাজা নগর, আজম বাড়ি, দামুইয়রহাট, থানাঃ রাঙ্গুনিয়া, জেলাঃ চট্টগ্রাম,
তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনীতে ৩১\১২\১৯৯৯ ইং সালে সাব ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তার কর্মস্থল চাঁদপুর, রাঙ্গামাটি, গোপালগন্জ, গাজীপুর, কক্সবাজার জেলায় কর্মরত ছিলেন, কক্সবাজারে থাকা অবস্থায় টেকনাফ থানার সেকেন্ড অফিসার হিসেবে নিজের দূনার্ম ও দুনীর্তির বীজ মাদক ব্যবসা মরন নেশা ইয়াবা দিয়ে চোরাকারবারীদের সহিত সখ্যতার মাধ্যমে নিজের আধিপাত্য বিস্তার শুরু হয়, এতে ওসি আলমগীরকে দারিদ্রতার দিকে আর ফিরে তাকাতে হয় নাই, তিনি ২৯\০৬\২০১১ ইং তারিখে সরকারী প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা (পুলিশ পরির্দশক) হিসেবে পদোন্নতি পান।
বর্তমানে তার সম্পদের পরিমান ২৩৫ কোটি টাকা, আয়কর নথি ও ইটিআইএন খুললে তার চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যংকের শাখায় কোটি কোটি টাকার লেনদেন সহ এফডিআর থাকার প্রমান আয়কর আধ্যদেশ ১৯৮৪ এর ১১৩ (এফ) ধারায় ধরা পড়বে বিধায় কৌশলের আশ্রয় নিয়ে খুলেন নি, ওনার বায়োজীদ থানাধীন রুপনগর আবাসিকে ০৫ কাঠা প্লট ক্রয় করেন বাবুলের কাছ থেকে,
এছাড়াও দঃ খুলশিতে ০৫ কাঠা জায়গার উপর ৬ তলা বিশিষ্ট ২ ইউনিটের একটি বাড়ি,অভিজাত এলাকা নাছিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে ০৬ তলা আরেকটি বাড়ি আছে, তার বউয়ের (তসলিমা আক্তার)নামে নগরীর বিভিন্ন ব্যংকে (মধুমতি, আইএফআইসি, যমুনা,ইসলামী) ব্যংক গুলাতে কোটি টাকার লেনদেন সহ জমা রয়েছে। এছাড়াও রাজধানী ঢাকার বুকে বসুন্ধরা আবাসিক ও কলাবাগানে একটি করে ফ্ল্যট রহিয়াছে।
ওসি আলমগীর মাদক ব্যবসা, জমি দখল এরমত ঘৃণ্য কাজে লিপ্ত হয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ০৩ এপ্রিল ২০১৮ইং তারিখে দৈনিক সুপ্রভাত প্রত্রিকায় প্রকাশিত (১২) পাতায়, রতন পুর রিয়েল এেস্টট থেকে জমী দখল করে দেওয়া বাবদ ২ কোটি টাকার লেনদেন সম্পন্ন করেন।
ওসি আলমগীর ২৯\০৬\২০১১ ইং তারিখে সরকারী প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা (পুলিশ পরির্দশক) হিসেবে পদোন্নতি পান। পরবর্তীতে ০২\০৬\২০১৪ ইং হতে ১৫\১২\২০১৬ ইং তারিখ পর্যন্ত সিএমপি পতেঙ্গা থানার ওসি হিসেবে দায়ীত্ব প্রাপ্ত হয়ে মাদক ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হলে, পরে ১৬\১২\২০১৬ ইং হতে ১৪\০৫\২০১৮ পর্যন্ত আকবর শাহ থানায় মাদক ব্যবসা মহ জমি দখল এর মতো কাজে লিপ্ত হন।
ওসি আলমগীরের বেতন স্কেল (২৩,০০০\৫৫,৪৭০), মূল বেতন ৩৪,০১০/- টাকা ভবিষ্যত তহবিল নং পুলিশ ১০৪৭৩৩, বেতন ID -২২১২১৫৯, হলে ও তিনি কোন সময় আয়কর প্রদান করেন নি।
পরবর্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, পুলিশ হেড কোয়াটার্স, ঢাকার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে সিএমপি এর আকবরশাহ থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীরের নাম ইয়াবা সহ মাদক পৃষ্টপোশকতায় আসাতে সিএমপি পুলিশ কমিশনার ২৭\০৩\২০১৮ইং তারিখে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ বাহীনীতে বদলীর প্রস্তাব
পাঠালে পুলিশ হেডকোয়াটার্স ঢাকা এর স্বারক নং ৪৪,০১,০০০০,০১১,১৫,০০২,২০১৮,১২৮০ তারিখ ১০\০৪\২০১৮ ইং মূলে ইন্ডা স্ট্রিয়াল পুলিশে বদলী করেন। পরে তিনি ওই বদলী বাতিল করার জন্য আবেদন করেন। বর্তমানে তিনি দামপড়া পুলিশ লাইনে Stand Release আছেন।