ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ শেষ পর্যন্ত ইয়াবা ডন বদীর সাথে মতবিরোধই কি কাল হয়ে দাড়ালো একরামের জন্য???
একই দল করলেও টেকনাফের কাউন্সিলর(কমিশনার)একরামের সাথে নাকি ভালো বনিবনা ছিলো না ইয়াবা সম্রাট এবং স্থানীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদীর।তাহলে কি তারই ইশারায় কি হত্যা করা হলো এই নিরীহ মানুষটিকে???
এক্ষেত্রে বদীর যোগসাজসে তারঁ পথের এই সৎ ব্যাক্তিটিকে সরিয়েও দেয়া হলো এবং জনগনকে দেখানো হলো হাসিনা সরকার ন্যায়-নীতির স্বার্থে নিজ দলের লোককেও ছাড় দেয় না।
একরাম হত্যার পর র্যাবের নাটক সাজানোর ব্যাপারটা চমৎকার ছিল। ১০/১৫ সেকেন্ড বিরতি দিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে ঠান্ডা মাথায় দুইটা ফায়ারে কাজ শেষ করার পরপরই, ননস্টপ হুইসেল বাজানো আর বাতাসে কাল্পনিক ব্যক্তিকে তুমুল গালিগালাজ, পাশাপাশি "ধর ধর" বলে ব্যাপক হাঁকডাক ।
ভাবটা এমন – যেনো সত্যিই ওঁৎ পেতে থাকা 'একরামের সহযোগীরা' একরামকে গুলি করে পালিয়ে যাচ্ছে। ক্রসফায়ার/বন্দুকযুদ্ধের 'প্রেস ব্রিফিং' যতোই একঘেয়ে আর গৎবাঁধা লাগুক, অন স্পট ওরা ভাল একটা আবহ তৈরী করেছিল। সত্যিই দারুন নাটক মঞ্চায়ন।
কিন্তু র্যাব-৭ ফেঁসে গেছে ,১০:৩০ মিনিটে একরামের লাশের হাতের বাঁধন খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়ে, এবং ১১:৫০ মিনিটে একরামের লাশের পাশে এলজির খোসা ও ২/৩টা পিস্তল রাখার নির্দেশ দিয়ে। (র্যাবের) দুর্ভাগ্যবশত সেসবও এই অডিওতে রেকর্ড হয়ে যায়।
লক্ষ্যণীয় বিষয় সমূহঃ
১০:৩০ মিনিট : নিহত একরামের হাতের বাঁধন খুলে দেয়ার নির্দেশ।
১১:৫০ মিনিট : একরামের লাশের পাশে এলজির খোসা এবং ২/৩টা পিস্তল রেখে দেয়ার নির্দেশ।
টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর মরহুম একরামকে ফায়ারের প্রতিটি শব্দে বুকে ধুমধুম করে লাগছিল।
এই বুঝি একটা গুলি মিস হল!
এই বুঝি নিরিহ একরাম বেঁচে গেল!!
শুধু এগুলোই চিন্তায় এসেছিলো।
স্বামী, পিতার নির্মম মৃত্যুর করুন আর্তনাদ শুনতে পেয়েছে একরামের পরিবার!
কতটা কষ্টদায়ক সেই মুহূর্ত!! নিজেকে একবার এই জায়গায় চিন্তা করুন ভাইয়েরা। গুলির শব্দ তখন থেমে গেছে। চলছে পরবর্তী প্রক্রিয়া। দুই মেয়ের কান্না থামাতে একরামের স্ত্রী শান্তনা দিচ্ছে – তোদের আব্বু ফিরে আসবে!
হ্যা এসেছে! বুকটা ঝাঝড়া, নিথর দেহ হয়ে।।
কি এতো বড় গডফাদার ছিল একরাম! কোন মামলা নাই, কোন অভিযোগ নাই। অভিযোগ শুধু ২০০৮ এ স্থানীয় এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে ব্যক্তিগত দন্ধে জড়িয়ে ইয়াবা সম্রাটের তালিকায় নাম উঠা।
অভিযোগ শুধু তালাশ টিমের সেই কাল্পনিক আলিশান বাড়ি, ফ্ল্যাট, ফ্লটগুলো- মিথ্যে গল্পকাহিনী। বাস্তবিক একরামের বাড়ির দৃশ্য সবাই অনলাইনের কল্যানে দেখেছেন।
হাসিনা সরকার একরামের সেই কথিত ১২০ কোটি টাকা আর চট্টগ্রাম, ঢাকার ফ্ল্যাটগুলোর ঠিকানা আর কাগজপত্র নিহত একরামের এতিম দুই কন্যার নিকট কখন হস্তান্তর করছেন?
সব কথারই শেষ কথা ,এসব চলছে,চলবেই,আপনারা মানলে মানেন নাইলে নাই ।