DMCA.com Protection Status
title="৭

নয়া সেনা প্রধান হচ্ছেন লেঃ জেনারেল আজিজ আহমেদ।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন প্রধান হচ্ছেন বিএ-২৪২৪ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ , বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস  পিএসসি, জি।

আগামী ২৬ জুন'২০১৮ তারিখে সেনাবাহিনীর বর্তমান প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হকের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।

আজ সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণভবন কমপ্লেক্স থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশে যুগ্ম সচিব মো. আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আগামী ২৫ জুন সেনাবাহিনীর বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বেলাল অবসরে যাবেন। সেদিন বিকেলে জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেবে সরকার।

আজিজ আহমেদ দায়িত্বভার গ্রহণের পর পরবর্তী তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ ১৯৬১ সালে চাঁদপুর জেলার মতলবে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আবদুল ওয়াদুদ এবং মায়ের নাম রেনুজা বেগম। তার বাবা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ছিলেন।

বর্তমানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৮ সালের ৯ জানুয়ারি তারিখে কোয়ার্টার মাস্টার  জেনারেল (কিউএমজি) হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

এর আগে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এর তৎকালীন মহাপরিচালক থেকে পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসেবে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) হিসেবে নিয়োজিত হয়েছিলেন আজিজ আহমেদ।

২০১২ সালের ৭ মে তারিখে আজিজ আহমেদ মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। একই বছর ৫ ডিসেম্বর বিজিবির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ অষ্টম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদী কোর্সের সঙ্গে ১৯৮৩ সালের ১০ জুন তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারি অ্যাকাডেমি হতে পাসিং আউটের পর সেনাবাহিনীর আর্টিলারি কোরে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি আর্টিলারি অফিসার্স বেসিক কোর্সসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কোর্সে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। আজিজ আহমেদ পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্টিলারি ব্রিগেডের জিএসও-৩ (অপারেশন), একটি পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড মেজর (বিএম), সেনাসদর প্রশিক্ষণ পরিদপ্তরের গ্রেড-২ স্টাফ এবং সেনাসদর, বেতন ও ভাতা পরিদপ্তরের গ্রেড-১ স্টাফ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এ ছাড়াও এই সেনা কর্মকর্তা আর্টিলারি সেন্টার অ্যান্ড স্কুল এবং স্কুল অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সতে (এসএমআই) প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ তার কর্মজীবনে একটি আর্টিলারি ইউনিটের অধিনায়ক, একটি বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক, একটি বিজিবি সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি স্বতন্ত্র এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারি ব্রিগেডসহ মোট দুটি আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার এবং একটি পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডার হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে কমান্ড সম্পন্ন করেছেন। বিজিবির মহাপরিচালক ছাড়াও জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্টডক হিসেবে সফল দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

আজিজ আহমেদ রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৭ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (পাস), ১৯৯৪ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার অব ডিফেন্স স্টাডিজ (এমডিএস), ২০০৮ সালে এমএসসি (টেকনিক্যাল) এবং ২০০৮ সালে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ইন বাংলাদেশ (অওটই) থেকে মাস্টার্স ইন বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) সম্পন্ন করেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ ১৯৮৯-১৯৯০ সালে আর্টিলারি সেন্টার ও স্কুল, হালিশহর, চট্টগ্রাম থেকে অফিসার্স গানারি স্টাফ কোর্স এবং ১৯৯২-১৯৯৩ সালে ভারতের স্কুল অফ আর্টিলারি, দেওলালী থেকে লং গানারি স্টাফ কোর্স (ফিল্ড) সম্পন্ন করেন। এর পর তিনি মিরপুর ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে ‎১৯৯৪-১৯৯৫ সালে সাফল্যের সঙ্গে আর্মি স্টাফ কোর্স-১৯ সম্পন্ন করেন।

আজিজ আহমেদ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে ইরাক-কুয়েতে  সামরিক পর্যবেক্ষক এবং ২০০৫-২০০৬ সালে সুদানে জাতিসংঘ মিশনে ফোর্স কমান্ডারের সামরিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এই সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী বেগম দিলশাদ নাহার আজিজ একজন গৃহিনী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তিন পুত্র সন্তানের জনক।  খেলাধুলা প্রিয় জেনারেল আজিজ গলফে বিশেষ উৎসাহী। অবসরে তিনি বই পড়েন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!