দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ২ নং পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের টিকেটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ মকিমুল ইসলাম মকিম পারুলিয়া ইউনিয়নের সোনাডাঙ্গা গ্রামে মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তার এমন বিতর্কিত নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে এবং তিনি এখন চরম জনরোষের মুখে রয়েছেন।
বর্তমানে নিজেকে রক্ষার্থে চেয়ারম্যান তার বাংলোর ভিতরে দরজা জানালা আটকিয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় অবস্থান করছেন।
চেয়ারম্যানের এমন নির্দেশনার কারন জানতে চাইলে এলাকাবাসী বলেন, পারিবারিক জমিজমা ক্রয় সংক্রান্তের জের ধরে এমন অবাঞ্ছনীয় কটুক্তি করেছেন বলে জানা যায়।
তারা আরো বলেন চেয়ারম্যান শেখ মকিমুল ইসলাম মকিম তার চাচা মোরাদ হোসেনের কাছ থেকে একখন্ড জমি ক্রয় করতে চেয়ে ছিলেন এবং টাকা পরে দিবে বলে সেই জমি তার নামে রেজিস্টারি করাতে চেয়ে ছিলেন।
কিন্তু তার চাচা সেই জমি তাকে না দিয়ে নগদ টাকার বিনিময়ে মকিম চেয়ারম্যানের বড় ভাই শেখ মতিন এর নিকট বিক্রয় করেন। শেখ মতিন (চেয়ারম্যানের বড় ভাই) তার চাচার নিকট থেকে ক্রয়কৃত জমির ৩ শতক জমি মসজিদে দান করেন।
চেয়ারম্যান শেখ মকিমুল ইসলাম মকিমকে জমি না দেওয়ায় রাগন্তিত হয়ে তিনি জনসম্মুখে বলেন, এ জমি যদি মসজিদে দান করা হয় তাহলে আমি মসজিদ ভেঙ্গে এখানে মন্দির নির্মাণ করবো।
এ বিষয়ে পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকিমুল ইসলাম মকিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।