কক্সবাজারে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে এএইচএম তানভীর আহমেদ (২৬) নামে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত তানভীর জেলা ছাত্রদলের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বলে জানিয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল।
শুক্রবার (২৯ জুন) দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়ার বাচাঁমিয়ার ঘোনা এলাকায় এ হত্যাকান্ড ঘটে।
কক্সবাজার সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের মাস্টার্স শেষবর্ষের শিক্ষার্থী এবং ওই এলাকার মোহাম্মদ সোলায়মানের ছেলে। তাদের পৈত্রিক বাড়ি মহেশখালীর ধলঘাটার বনজামিরা ঘোনা এলাকায়। বর্তমানে কক্সবাজার আইডিয়াল মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও প্রতিভা কোচিং সেন্টারের পরিচালক। আগামী ১০ জুলাই নৌবাহিনীর অফিসার পদে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল তানভীরের ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুরে বাঁচা মিয়ার ঘোনা জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলার আশরাফুল হুদা সিদ্দিকি জামশেদ। এরপর তিনি সেখানে দক্ষিণ রুমালিয়াছড়া এলাকায় কুশলবিনিময় করেন। এ সময় ওই এলাকার একটি দোকানে বসা ছিলেন তানভীরসহ বেশ কয়েকজন যুবক।
জামশেদ দোকানটি অতিক্রম করে যাওয়ার সময় দীর্ঘদিন ভাঙা থাকা রাস্তার ইস্যু তুলে দোকানে বসা ওই যুবকরা জামশেদের নাম ধরে গালিগালাজ শুরু করেন। একইসঙ্গে আগামী ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে উন্নয়নের অঙ্গীকারকারী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কথা বলেন। তানভীর তখন ওই যুবকদের গালিগালাজ না করতে বলেন।
এ নিয়ে তারা তানভীরের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তারা তানভীরকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তানভীরকে মুমুর্ষূ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
কাউন্সিলর জামশেদ বলেন, খুনের সঙ্গে জড়িতরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। একই এলাকার বশিরের ছেলে নিজাম, জসিম, মোস্তাক, দেলোয়ার হোসেন দেলু তাদের সাঙ্গপাঙ্গ নিয়েই তানভীরকে ছুরিকাঘাত করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খোন্দকার বলেন, এলাকার সমস্যা ও নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে বাকবিতণ্ডায় এক শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন।